ফেনী
মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৪১
, ১১ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
সংস্কার ধোঁয়া তুলে ষড়যন্ত্র করা হলে দেশের সমস্যা বাড়তে থাকবে সোনাগাজীতে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতার পরিবারকে বাড়ি উপহার দিলেন তারেক রহমান চাঁদাবাজি করলে শহীদদের রক্তের অসম্মান হবে সংসদের উচ্চকক্ষে সখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হলে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত হবে না ইসলামি আন্দোলন ফেনীর কমিটি গঠন,সভাপতি এনাম- সেক্রেটারি একরাম ১৪ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে বরাত সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ফেনীর কমিটি ঘোষণা রাজাপুরে হিলফুল নূর ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র উপহার ফেনীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ফেনী বড় মসজিদের এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠলো আ.লীগ আবার ফিরবে,জয়বাংলা

অতঃপর সংবাদপত্র চুরি!

 

মনজুরুল আহসান বুলবুল-দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটের চিত্র তুলে ধরে স্বয়ং অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেছেন :এই খাতে পুকুর নয়, ‘সাগর চুরি’ হচ্ছে। সেক্টরের অভিভাবক হিসেবে জনাব মন্ত্রী এই সাগর চুরি ঠেকাতে কী করেছেন বা কেন ব্যর্থ হয়েছেন- সে প্রশ্ন রেখেই সত্যটি অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন সাধারণ মানুষ।

এই চুরি নিয়ে আরও উদাহরণ দেওয়া যায়। কিন্তু কোনো পেশার প্রতি অশ্রদ্ধা না দেখিয়ে শুধু গল্পের জন্যই প্রচলিত একটা গল্প বলি। এক বাংলাদেশি প্রকৌশলী বিদেশে এক সতীর্থ প্রকৌশলী বন্ধুর বাড়িতে গেছেন। তার অসাধারণ বিলাসবহুল জীবন, চমৎকার বাড়ি, দামি গাড়ি দেখে বাংলাদেশি প্রকৌশলী তো হতবাক। তার এই ভেতরকার বিষয়টি বিদেশি বন্ধু বুঝতে পেরে বললেন :আমি এত সম্পদের মালিক কী করে হলাম, সেটা নিয়েই তো তোমার প্রশ্ন? বিকেলে জবাব পাবে। যথারীতি বিকেলে দুই বন্ধু বের হলেন। শহরের আশপাশে বিশাল বিশাল নির্মাণ কাজ দেখিয়ে বিদেশি প্রকৌশলী বাংলাদেশি বন্ধুকে আশ্বস্ত করলেন যে, বছরের পর বছর প্রকৌশলী হিসেবে এসব প্রকল্পের কাজ করেই তিনি এই অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। বাংলাদেশি প্রকৌশলী খুবই স্বস্তি নিয়ে ফিরলেন। বছরখানেকের মাথায় তিনি সেই বিদেশি বন্ধুকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানালেন। বিদেশি বন্ধু তার বাংলাদেশি বন্ধুর বিত্তবৈভব দেখে খুবই বিমোহিত। বাংলাদেশি প্রকৌশলী তার বিদেশি বন্ধুকে বললেন; তুমি কি জানতে চাও কীভাবে আমার বিত্তবৈভব হয়েছে? বিকেলে দেখাতে নিয়ে যাব। যথারীতি বিকেলে বের হলেন তারা। নগরীর উপকণ্ঠে বিশাল নদীর তীরে গিয়ে বাংলাদেশি প্রকৌশলী তার বিদেশি বন্ধুকে দেখাচ্ছেন :ওই যে নদীর ওপর বিশাল সেতুটি দেখছ, সেই প্রকল্পে কাজ করেই আমার এত বিত্ত! নদীর দিকে বারবার তাকান বিদেশি প্রকৌশলী, একবার চশমা চোখে আবার চশমা খুলে। আবার চোখ কচলে বারবার দেখেন; কিন্তু সেতু তো দেখা যায় না! কী আশ্চর্য!! বিস্মিত বিদেশি তার বন্ধুর দিকে তাকান; কোনো প্রশ্ন করতে হয় না, বাংলাদেশি প্রকৌশলী জবাব দেন- কোনো সেতু দেখা যাচ্ছে না, তাই তো? আসলে ওই সেতুর পুরো টাকাই খরচ হয়েছে আমার নতুন বাড়ি আর গাড়ি কেনার পেছনে। সেতুটি হয়নি কিন্তু ‘আমার হয়েছে’!!! এটাকে ‘সেতু চুরি’ বলা যায় কি-না, পাঠক ভাবতে পারেন। উচ্চকণ্ঠ এক রাজনীতিকের সেতু চুরির কথা তো সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়েছে।

এত চুরির কথা সামনে এলো ‘পত্রিকা চুরি’র খবরটি দেখে। পত্রিকা চুরি!!! হ্যাঁ পাঠক, পত্রিকা চুরি!! গণমাধ্যমের নানা সংকট নিয়ে একটা বড় লেখার ছোট সংস্করণ জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংকলনের জন্য শেষ করেছি কেবল! সেখানকার সংকটের নানা চেহারার বর্ণনা দিলেও গোটা পত্রিকা চুরির সংকটটি তখনও মাথায় আসেনি। সংবাদমাধ্যমে ‘পেইড নিউজ’ নিয়ে আলোচনা ছিলই; কোনো সাংবাদিককে কিনে নেওয়ার এই প্রবণতা আনুষ্ঠানিক রূপ পায় ভারতের গত লোকসভা নির্বাচনের সময়। কোনো ব্যক্তি সাংবাদিক নয়; গোটা পত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেলটিই কিনে ফেলার বিষয়টি প্রকট হয়ে ওঠে সে সময়। হালে ‘ফেক নিউজ’ তো আলোচনার শীর্ষে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কল্যাণে এটিও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু পত্রিকার প্রথম পাতা চুরির ঘটনা বোধ করি এই প্রথম ঘটল এবং তা বাংলাদেশেই। দেশের স্বনামধন্য ডেইলি স্টার খবর দিচ্ছে :সামাজিক গণমাধ্যমে ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার একটি প্রতিচিত্র পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম স্বনামে একটি কমেন্ট্রি লিখেছেন। প্রতিচিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে, ডেইলি স্টারের ১৪ অক্টোবর সংখ্যার প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণের প্রথম পাতাটি চুরি করে তাতে পৃষ্ঠাসজ্জাটি পরিবর্তন করে সেখানে মাহফুজ আনামের একটি ‘কমেন্ট্রি’ ছাপানো হয়েছে। মাহফুজ আনাম জানাচ্ছেন :তিনি ওই ধরনের কোনো কমেন্ট্রি লেখেননি এবং ১৪ অক্টোবর ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার পৃষ্ঠাসজ্জার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া পৃষ্ঠাসজ্জার কোনো মিল নেই। এ ব্যাপারে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ থানায় জিডিও করেছে; পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। একই দিনে বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, সমকাল ও দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পৃষ্ঠাও একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে, যার প্রথম পৃষ্ঠার সঙ্গে পত্রিকার মূল কপির কোনো মিল নেই।

ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতি বা মাহফুজ আনামের কমেন্ট্রি নিয়ে এ আলোচনা নয়। আলোচনা হচ্ছে পত্রিকাটির প্রথম পাতা চুরি নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার ডেইলি স্টারের যে প্রতিচিত্রটি দেখছি, তার সঙ্গে হাতে থাকা ১৪ অক্টোবরের ডেইলি স্টারের দুটি সংস্করণের কোনো মিল নেই। এখানে মাহফুজ আনামের কোনো রচনা প্রকাশিতও হয়নি। কিন্তু ডেইলি স্টারের মাস্টহেড, দুই পাশের বিজ্ঞাপন ঠিক রেখে পৃষ্ঠার ছবি পুনর্বিন্যস্ত করে নতুন শিরোনামে একটি নতুন হেডলাইন করা হয়েছে। পাশে জুড়ে দেওয়া হয়েছে মাহফুজ আনামের নামে একটি কমেন্ট্রি, যেটি তার লেখা নয় বলে থানায় জিডি করা হয়েছে। একটা পত্রিকা চুরি মানে গোটা পত্রিকা চুরি বোঝায় না, মাস্টহেড আর প্রিন্টার্স লাইন চুরিই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই চোরের মূল উদ্দেশ্য হয়তো তদন্ত শেষে জানা যাবে; কিন্তু চোরটির যোগ্যতা খুবই উঁচুমানের- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রথম যোগ্যতা : প্রযুক্তিগত দক্ষতা। এই যোগ্যতাবলেই সে একটি সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা পাল্টে নিজের ইচ্ছামতো বিষয়বস্তু ঢুকিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতে পেরেছে। দ্বিতীয় যোগ্যতা হচ্ছে, লেখার যোগ্যতা। অর্থাৎ মাহফুজ আনামের নামে একটা লেখা তৈরি ও তা বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন।

এ কথা অস্বীকার করার জো নেই; গতির দিক থেকে সোশ্যাল মিডিয়া খুবই শক্তিশালী। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই মাধ্যমের গতি প্রযুক্তিগতভাবে যতটাই শক্তিশালী; বিষয়বস্তুর দিক থেকে তা ততটাই দুর্বল। সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের মধ্য দিয়ে এর বিষয়বস্তু পরিশীলিত হয় না বলেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়াকে সরাসরি সংবাদমাধ্যম বলার চাইতে গণযোগাযোগের মাধ্যম বলতে পছন্দ করেন। বলাই বাহুল্য, সব গণযোগাযোগই সাংবাদিকতা নয়। দেশের শীর্ষ নেতারা যখন বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন, তখন সেটা গণযোগাযোগ বটে, কিন্তু সাংবাদিকতা নয়।

ডেইলি স্টার এবং অন্য তিনটি বাংলা সংবাদপত্রের পৃষ্ঠা চুরি করে যারা অপকর্মটি করেছে, তারা বিষয়টি ভালো করে জানে। জানে বলেই তারা অপকর্মের জন্য ‘টুল’ হিসেবে ব্যবহার করেছে সোশ্যাল মিডিয়াকে; কিন্তু আধেয় হিসেবে ব্যবহার করেছে মূলধারার প্রথামাফিক সংবাদপত্রকে। এই সংবাদপত্রগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা সোশ্যাল মিডিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতার চেয়ে অনেক অনেক বেশি শক্তিশালী। এটিই তাদের প্রয়োজন ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মূলধারার সংবাদমাধ্যমকে কলুষিত করার এই অপচেষ্টা সাংবাদিকতার জন্য এক মহাবিপদ সংকেত। একটি সংবাদমাধ্যম সাংবাদিকতার কঠিন রীতিনীতি অনুসরণ করে একটি দায়িত্বশীল সংবাদপত্র বা টেলিভিশন চ্যানেল গড়ে তুলবে আর পত্রিকার মাস্টহেড ও প্রিন্টার্স লাইন বা টেলিভিশনের নামচিহ্ন (লোগো) চুরি করে ভেতরের সব আধেয় (কনটেন্ট) পাল্টে দেবে- এ তো সাংবাদিকতার জন্যই এক ভয়াবহ হুমকি। দায়িত্বশীল সম্পাদক তার পেশাদার সহকর্মীদের নিয়ে দিনমান শ্রম দিয়ে মধ্যরাতে একটি সংবাদপত্র ছাপার কাজ শেষ করে স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন; আর সকালে উঠে দেখবেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মাস্টহেড আর প্রিন্টার্স লাইনের মধ্যে থরে থরে সাজানো ভিন্নতর বিষয়বস্তু!!! অবিশ্বাস্য এক প্রতারণা।

কিন্তু এই অবিশ্বাস্য কাণ্ডটিই ঘটল। আশঙ্কা করি আরও ঘটবে। এই হুমকি কয়েকটি সংবাদপত্র বা কয়েকজন মাত্র সম্পাদকের প্রতি হুমকি নয়। আসলে এই হুমকি দায়িত্বশীল পেশাদারি সাংবাদিকতার প্রতিই। যারা এ কাজটি করছেন তারা সাইবার অপরাধ করছেন। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা আসলে এ ধরনের পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করার কথা। কিন্তু লাগাতার অপপ্রয়োগে এটি এখন ভোঁতাপ্রায়। সাইবার অপরাধ দমনে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সেল বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রায় তিন বছর আগে এই নিবন্ধকারসহ সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে কারা দায়ী- আজও তা খুঁজে বের করা যায়নি। মাত্র গত সপ্তাহে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিটিআরসির নামে একটি ঘোষণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিটিআরসি নিজেই বলেছে, ঘোষণাটি তাদের নয়। কিন্তু কারা বিটিআরসির নামে ভুয়া ঘোষণাটি ছড়াল; বিটিআরসি তাকে এখনও শনাক্ত করতে পেরেছে কি-না তা জানা যায়নি।

এই যে বাংলাদেশের মিডিয়ার সামনে নতুন এক সংকট উপস্থিত, তার সমাধান কী? একটি তো সহজ সমাধান ঘটনার নেপথ্যের দুর্বৃত্তকে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া।

কিন্তু সাবধানি প্রক্রিয়াটি হয়তো এখনই শুরু করা যায়। তা হচ্ছে, প্রতিটি গণমাধ্যমের অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা আরও জোরদার করা। যেমন ফেসবুক, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের সাইটে আপলোড করা কনটেন্টের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য এখন ‘ফ্যাক্ট চেকার’ বসাচ্ছে। উদ্দেশ্য ভুয়া তথ্য ঠেকানো। বেশ কিছুকাল আগে থেকেই নিরাপত্তামূলক দলিলাদির কপি ঠেকাতে এক ধরনের কাগজের ব্যবহার শুরু হয়েছে; যে কাগজের মূল কপিটি যে কোনোভাবে কপি করতে গেলে তাতে ভাসমান হবে ‘ডুপ্লিকেট কপি’। সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো প্রযুক্তির চিন্তা করা যায় কি-না, যে প্রযুক্তি সংবাদপত্রের মূল সংস্করণ পাল্টে দিতে চাইলে তাতে বাধা দেবে এবং কপি করা গেলেও সেটি যে মূল কপি নয়, তা নিশ্চিত করবে। প্রাথমিকভাবে গোটা পাতার ব্যাপারে না পারা গেলেও সংবাদপত্রের মাস্টহেড, প্রিন্টার্স লাইন বা টেলিভিশনের লোগো কপি করার ক্ষেত্রে এখনও এই নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবা যায়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা হয়তো এ বিষয়ে আরও সুনির্দিষ্ট সমাধান দিতে পারেন।

তবে এটি তো সত্যি, ‘সংবাদপত্র চুরি’র ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি নতুন চক্রান্ত। যারা এটি করছেন, তারা গণমাধ্যমেরই শত্রু, বিশেষত ভালো সাংবাদিকতার শত্রু। এই শত্রুকে মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন ভালো সাংবাদিকতার পক্ষের সব শক্তির যৌথ উদ্যোগ।

সাংবাদিক
bulbulahsan@gmail.com

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo