অনুমোদনহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে লাজ ফার্মাকে ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লাজ ফার্মার কাকরাইল ফ্রাঞ্চাইজিকে এ জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার বিকালে র্যাব-৩ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কোন ধরনের ওষুধ আমদানি করা যাবে, কোনগুলো আমদানি নিষিদ্ধ তা সরকার নির্ধারণ করেছে। তাছাড়া ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রেও বাধ্যবাধকতা রয়েছে, রয়েছে রাজস্ব পরিশোধের বাধ্যবাধকতাও।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু কাকরাইলের লাজ ফার্মায় আমরা দেখতে পেয়েছি বিপুল পরিমাণ অননুমোদিত ওষুধ ও ইনজেকশন মজুত করা হয়েছে। যার রাজস্ব পরিশোধ কিংবা যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এর অধিকাংশই তারা আমদানি করেছে লাগেজ পার্টির মাধ্যমে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।’
জানা যায়, লাজ ফার্মায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বাক্সে ঘষামাজা করে তারিখ পরিবর্তনের গুরুতর অপরাধের প্রমাণও পাওয়া যায়।
প্রতিষ্ঠানটির সাতজনকে অভিযুক্ত করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে পাঁচ লাখ করে এবং দুজনকে দুই লাখ টাকা করে মোট ২৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৭৬ প্রকারের ৫০ লাখ টাকার অননুমোদিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ইনজেকশন।