অভি মঈনুদ্দীন-চলচ্চিত্রে অভিনয়জীবনের চার দশক পূর্ণ করতে যাচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিরসবুজ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর তিনি অভিনয়জীবনের চার দশক পূর্ণ করবেন। সুভাষ দত্ত পরিচালিত ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ইলিয়াস কাঞ্চনের। ১৯৭৭ সালের ২৬ মার্চ তিনি প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। সে বছরই ৩১ ডিসেম্বর ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ববিতা। সেই থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই তার অভিনীত চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। সেই হিসেবে ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন। কাঞ্চন তার বিপরীতে নায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পেয়েছেন চম্পা, দিতি ও অঞ্জু ঘোষকে। ইলিয়াস কাঞ্চন যৌথভাবে প্রথম প্রযোজনা করেন ‘সর্পরানী’ ও ‘বোনের মতো বোন’ চলচ্চিত্র। এরপর তিনি এককভাবে প্রযোজনা করেন ‘বাদশা ভাই’, ক্যারিয়ারের শততম চলচ্চিত্র ‘মাটির কসম’, ‘খুনী আসামী’, ‘বদসুরত’, ‘বাঁচার লড়াই’, ‘মুন্না মাস্তান’ প্রভৃতি। ক্যারিয়ারের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে নতুন ইংরেজি বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর একটি অভিজাত ক্লাবে ইলিয়াস কাঞ্চন তার খুব কাছের শিল্পী, পরিচালক, প্রযোজকসহ অন্যদের নিয়ে এক গেটটুগেদারের আয়োজন করেছেন।
এ নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিব্যক্তি, ‘এই গেটটুগেদারের আয়োজন করতে দিয়ে দেখলাম যে দু’জন মানুষ আমাকে সন্তানের মতো স্নেহ করতেন সুভাষ দত্ত এবং দারাশিকো এই পৃথিবীতে নেই। নেই আমার প্রিয় পরিচালক শিবলী সাদিক, মান্নান সরকার, আলমগীর কবির, মমতাজ আলী, তোজাম্মেল হক বকুলসহ আরো বেশ ক’জন। নেই আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই নায়করাজ রাজ্জাক। এমন আরো অনেকে। নীরবে ভেবে ভেবে কষ্ট পেলাম। তার পরও যারা আছেন তাদের নিয়ে অনুষ্ঠানটি করতে যাচ্ছি। আশা করি, প্রিয় সেই মুখগুলোর দেখা পাবো।’ ইলিয়াস কাঞ্চন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে পরিণত করে ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ দিবস’-এর যাত্রা শুরু করান চলতি বছরে। অভিনয়জীবনের পথচলায় বাবুরাজ পরিচালিত ‘পাষাণ’ চলচ্চিত্রে তিনি এবং অঞ্জু ঘোষ প্লেব্যাকও করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন দু’টি চলচ্চিত্র নির্দেশনা দিয়েছেন, একটি ‘বাবা আমার বাবা’ এবং অন্যটি ‘মায়ের স্বপ্ন’। ইলিয়াস কাঞ্চনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। তার বাবা আব্দুল আলী এবং মা স্বরূপা খাতুন। আলমগীর কবির পরিচালিত ‘পরীণিতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি