আ.লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ায় ফেনীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণও আত্নগোপনে চলে যায়।এতে করে দীর্ঘ দিন ধরে পরিষদে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।ফলে ফেনীর ৪০ টি ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে প্রশাসক নিয়োগ করেছে সরকার।বুধবার জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানা যায়।
পত্রে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন যে, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৩, ১০১ ও ১০২ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্র মোতাবেক ফেনী জেলার ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত কর্মকর্তাগণকে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
এর মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে ফেনী সদরের ফরহাদ নগর, পাঁচগাছিয়া,বালিগাঁও,কালিদহ,ফাজিলপুর ও ছনুয়া এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে শর্শদি,ধর্মপুর,কাজিরবাগ,লেমুয়া,ধলিয়া ও মোটবী ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে দাগনভুইয়ার রাজাপুর, সিন্দুরপুর এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে মাতুভূঞা জায়লস্কর,ইয়াকুবপুর ও পূর্বচন্দ্রপুর এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সোনাগাজীর চরচান্দিয়া,সোনাগাজী ও আমিরাবাদ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে চরমজলিশপুর,বগাদানা,মঙ্গলকান্দি,মতিগঞ্জ ও চরদরবেশ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে রাধানগর ও মহামায়া এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে শুভপুর,ঘোপাল, পাঠান নগর ও ফুলগাজীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে ফুলগাজী, মুন্সিরহাট ও আমজাদহাট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দরবারপুর,আনন্দপুর,জিএমহাট ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরশুরামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে চিথলিয়া ও বক্সমাহমুদ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়োগ দেওয়া হয়।