ফেনী
শুক্রবার, ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:১৯
, ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের দুর্নীতির তদন্ত শুরু ফেনীতে দুর্গাপূজায় নাশকতা ঠেকাতে মণ্ডপ পাহারায় থাকবে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই বছর ধরে প্রবাসী হয়েও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদে বহাল! ধর্মপুর এডুকেশনাল এস্টেটের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বন্যা প্রতিকারে ৮ দফা দাবি জানিয়ে ফেনীতে এবি পার্টির মানববন্ধন ফাজিলপুরে জামায়াতের ইউনিট সভাপতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর রোগমুক্তি কামনায় ফেনীতে দোয়া মাহফিল ফেনীতে অসহায়দের মাঝে জামায়াতের অটোরিকশা-নগদ অর্থ বিতরণ  ৫৩ বছরেও তিস্তা নদীর চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিলেন ছাত্রদল নেতা 

ইসলাম : ভালোবাসার বাণী ও ন্যায়বিচার

 

মীযানুল করীম-অমুসলিমদের কেউ কেউ মনে করেন ইসলাম বিশ্বজুড়ে এত মিলিয়ন অনুসারী পেতে সক্ষম হতো না, যদি শক্তির জোরে এই ধর্ম প্রচার করা না হতো। এই ভুল ধারণা দেখা যায় সব সময়েই। বাস্তবে তলোয়ার নয়, সত্য ও যুক্তির অন্তর্নিহিত শক্তিই ইসলামের দ্রুত বিস্তার ঘটিয়েছে।
ইসলাম সর্বদাই সব ধর্মকে মর্যাদা ও স্বাধীনতা দিয়েছে। আল কুরআনে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে নির্দেশ রয়েছে ধর্মের (গ্রহণ করা না করার) ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সত্য পথ ভুল পথ থেকে পৃথক ও স্পষ্ট হয়েছে (২:২৫৬)।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ডি ল্যাসি ও’লিয়ারি লিখেছেন, ইতিহাসে এটা সুস্পষ্ট যে, ধর্মোন্মাদ মুসলমানেরা দুনিয়াটা দখল করা এবং বিজিত জাতিগুলোর ওপর তরবারির জোরে ইসলাম চাপিয়ে দেয়ার কাহিনী হচ্ছে, ইতিহাসবিদেরা বারবার যেসব সর্বাধিক কাল্পনিক ও অবাস্তব কল্পকথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর একটি।
ইসলাম যদি ‘তলোয়ার’ দিয়ে প্রসার লাভ করে থাকে, সেটা বুদ্ধিমত্তা এবং প্রভাববিস্তারকারী যুক্তি ও বক্তব্যের ‘তলোয়ার’। অমুসলিম জনগণের হৃদয়-মন জয় করে নিয়েছিল এই তরবারি। আল কুরআনে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তোমার প্রভুর পথে আহ্বান করো প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দিয়ে এবং তাদের সাথে আলোচনা করো সে পন্থায়, যা সর্বোত্তম (১৬:১২৫)।
বাস্তবতা আপনা আপনিই সাক্ষ্য দেয় সত্যের। ইন্দোনেশিয়া হলো সে দেশ, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বসবাস। আর মালয়েশিয়াতেও বেশির ভাগ মানুষ মুসলমান। অথচ কোনো মুসলিম সেনাদল কখনো এই দেশ দু’টিতে যায়নি। এটা ইতিহাসে প্রমাণিত সত্য, এসব দেশের মানুষ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে নয়, ইসলামের নৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলমান হয়েছেন। অতীতে যেসব অঞ্চলে ইসলামি শাসন বজায় ছিল, তেমন বহু এলাকায় আজ আর সে ধরনের সরকার নেই। তবুও এসব স্থানের মূল বাসিন্দারা মুসলমানই রয়ে গেছেন। তদুপরি, তারা সত্যের বাণী বয়ে নিয়ে গেছেন অন্যদের কাছে। তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইসলামের দিকে। এটা করতে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতি, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন । একই কথা প্রযোজ্য সিরিয়া, জর্ডান, মিসর, ইরাক, উত্তর আফ্রিকা, এশিয়া, বলকান অঞ্চল ও স্পেনের ক্ষেত্রেও। এসব দেশের ইতিহাসে দেখা যায়, পাশ্চাত্যের উপনিবেশবাদী শক্তির দখলদারির বিপরীতে ইসলামের প্রভাবে জনগণের মধ্যে সুদৃঢ় নৈতিক প্রত্যয় জন্ম নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোকে দখল করা অঞ্চল পরিত্যাগ করে নিতে হয়েছিল বিদায়। এসব দেশের জনগণের মন থেকে সে আমলের অধীনতা, জুলুম-নির্যাতন, দুঃখ বেদনার স্মৃতি মুছে যায়নি।
মুসলমানেরা স্পেন (আন্দালুসিয়া) আট শ’ বছর শাসন করেছিলেন। এই সুদীর্ঘ সময়ে খ্রিষ্টান-ইহুদিরা সেখানে নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ভোগ করেছেন। ইতিহাসে এর প্রামাণ্য দলিল বিদ্যমান।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইহুদি ও খ্রিষ্টান সংখ্যালঘুরা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে বাস করে আসছে। মিসর, মরক্কো, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডানের মতো দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় খ্রিষ্টান ও ইহুদিরা বসবাস করছে।
মুসলমানেরা ভারত শাসন করেছেন প্রায় হাজার বছর ধরে। অতএব, প্রতিটি অমুসলিমকে জোর করে মুসলিম বানানোর শক্তি তাদের ছিল। কিন্তু তারা তা করেননি। এ কারণেই ভারতবর্ষের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অমুসলিমই রয়ে গেছে।
একইভাবে ইসলাম দ্রুত প্রসার অর্জন করেছে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে। সেখানে তো কোনো দিন মুসলমান সৈন্য পাঠানো হয়নি।
রিডার্স ডাইজেস্ট অ্যালমানাক অর্থাৎ বার্ষিক সাময়িকীর ১৯৮৬ সালের সংখ্যায় বিশ্বে প্রধান ধর্মগুলোর প্রসার লাভের পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছিল। শতাংশের হারে এতে দেখানো হয়েছে ১৯৩৪ থেকে ’৮৪ সালের অর্ধ শতকের হিসাব। একই নিবন্ধ প্লেইন ট্রুথ ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হয়েছে। উল্লিখিত পরিসংখ্যান মোতাবেক, ইসলামের স্থান সবার ওপর। ওই ৫০ বছরে এই ধর্মের বিস্তার ২৩৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় আড়াই গুণ। অপর দিকে খ্রিষ্টধর্মের মাত্র ৪৭ শতাংশ প্রসার ঘটেছে। অথচ এই অর্ধ শতাব্দীতে কোথাও মুসলমানদের সৈন্য দল পাঠিয়ে সামরিক বিজয়ের ঘটনা ঘটেনি। তবুও অসাধারণ দ্রুততার সাথে ইসলাম হয়েছে বিস্তৃত।
বর্তমানে আমেরিকা ও ইউরোপে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে যে ধর্মের প্রসার ঘটছে তার নাম ইসলাম। এসব দেশে মুসলমানেরা সংখ্যালঘু। তাদের কেবল একটি তরবারিই আছে। এটি সত্যের তরবারি। এর মাধ্যমেই হাজার হাজার মানুষ ইসলামে দীক্ষিত হচ্ছেন।
ইসলামি আইনে সংখ্যালঘুদের বিশেষ অধিকারপূর্ণ মর্যাদার বিষয়টি সুরক্ষিত। এ কারণে ইসলামি বিশ্বের সর্বত্র অমুসলিমদের উপাসনালয়ের ছড়াছড়ি। ইসলামের আইন অমুসলিম সংখ্যালঘুদের নিজস্ব আদালত প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়। সেখানে তাদের নিজস্ব পারিবারিক আইন বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। ইসলামি রাষ্ট্রে সব নাগরিকের জীবন ও সম্পত্তি বিবেচনা করা হয় পবিত্র হিসেবে; সে নাগরিক মুসলিম কি অমুসলিম, তা বিবেচনা করা হয় না।
সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে, ইসলাম তরবারির জোরে প্রসার লাভ করেনি। মুসলিম দেশগুলোতে এত অমুসলিম সংখ্যালঘু; কই, কথিত তরবারি তো তাদের মুসলমান বানায়নি। মুসলমানেরা আমাদের এই উপমহাদেশে আট শ’ বছর ধরে শাসন করেছেন। তবু ভারতে তারা আজো সংখ্যালঘু। অপর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ধর্মই সবচেয়ে দ্রুত প্রসার লাভ করছে। সে দেশে ইসলামের অনুসারী এখন ৬০ লাখেরও বেশি।
হাস্টন স্মিথ তার বই, দ্য ওয়ার্ল্ডস রিলিজিয়ান্স-এ আলোচনা করে দেখিয়েছেন, কিভাবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম শাসনাধীনে ইহুদি-খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন।
স্মিথের ভাষায়, রাসূল একটি দলিল তৈরি করলেন যাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ইহুদি ও খ্রিষ্টানেরা সর্বপ্রকার অবমাননা ও ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা পাবে; আমাদের সাহায্য সহযোগিতা ও সুবিবেচনার ক্ষেত্রে তাদের অধিকার থাকবে আমাদের স্বধর্মীদের সমান। দলিলটিতে আরো জানানো হলো, ‘তারা তাদের ধর্মকর্ম করবে মুসলমানদের মতোই স্বাধীনভাবে’।
হাস্টন স্মিথ লিখেছেন, মুসলমানেরা এই দলিলকে মানব ইতিহাসে বিবেকের স্বাধীনতার সর্বপ্রথম সনদ এবং পরবর্তীকালের সব মুসলিম রাষ্ট্রের অনুসরণীয় মডেল হিসেবে মর্যাদা দিয়ে থাকে।

ইসলামে ন্যায়বিচার বলতে কী বোঝায়?
ইসলামের বিশ্বদৃষ্টিতে ন্যায়বিচার মানে, বিভিন্ন বিষয়কে সেগুলোর যথাযথ স্থানে স্থাপন করা। অন্যদের সাথে সম-আচরণ করাও ন্যায়বিচার। ইসলামে ন্যায়বিচার একটি নৈতিক গুণ এবং মানবিক ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য। পাশ্চাত্যের ঐতিহ্যেও একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা হয়। ন্যায়বিচার সাম্য বা সমতার ঘনিষ্ঠ এ কারণে যে, অধিকার ও দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করে ন্যায়বিচার। অবশ্য সমতা ও ন্যায়বিচার সব ক্ষেত্রে অভিন্ন নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কমবেশি করার মধ্য দিয়েই সুবিচার কায়েম করতে হয়।
রাসূলুল্লাহ সা: ঘোষণা করেছেন, সাত ধরনের মানুষকে আল্লাহ তায়ালা সে দিনটিতে তাঁর ছায়া দেবেন, যে দিন তাঁর ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। (এর একটি হলো) ন্যায়বিচারক নেতা (সহিহ মুসলিম)।
একই হাদিস গ্রন্থে উল্লিখিত আছে, আল্লাহ তাঁর রাসূল সা:-কে এই ভাষায় বলেছেন, ‘হে আমার বান্দারা, আমি নিজের জন্য অবিচার নিষিদ্ধ করেছি এবং এটা নিষিদ্ধ করেছি তোমাদের জন্যও। অতএব একে অন্যের প্রতি অবিচার করা থেকে বিরত থেকো।’
ন্যায়বিচার নৈতিক পরিশুদ্ধি ও সুনীতির প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এর মাধ্যমে কোনো জিনিস বা বিষয় সে স্থান পায় যেখানে এর থাকা উচিত।
আল কুরআন ন্যায়বিচারকে একটি পরম গুণ বলে গণ্য করে থাকে। ইসলামে ন্যায়বিচারকে এত বেশি মর্যাদা দেয়া হয় যে, তাওহিদ ও রিসালতের পরই এর স্থান। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে ঘোষণা করছেন, আল্লাহ ন্যায়বিচার ও সদাচরণের নির্দেশ দিচ্ছেন (১৬:৯০)। হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর জন্য ন্যায়পরায়ণ হও এবং ন্যায়বিচারসহকারে সাক্ষ্য বহনকারী হও (৫:৮)।
এই প্রেক্ষাপটে আমরা উপসংহারে উপনীত হতে পারি যে, ন্যায়বিচার ইসলামে একটি আবশ্যিক কর্তব্য এবং অবিচার নিষিদ্ধ। কুরআননির্দেশিত মূল্যবোধব্যবস্থার কেন্দ্রেই যে ন্যায়বিচারের অবস্থান, তার প্রমাণ এই আয়াত : আমরা আমাদের বার্তাবাহক পাঠিয়েছি সুস্পষ্ট চিহ্নসহ এবং তাদের সাথে পাঠিয়েছি আল কিতাব এবং মিজান বা মানদণ্ড, যাতে মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় ন্যায়বিচার (৫৭:২৫)।
‘এর থেকে বোঝা যায়, মানুষের জন্য প্রেরিত সব ওহি ও আসমানি কিতাবের লক্ষ্য ছিল ন্যায়বিচার করা। আয়াতটি আরো শেখাচ্ছে, আল্লাহ নির্দেশিত মাপকাঠি ও দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে ন্যায়বিচারের বিষয়টি অবশ্যই পরিমাপ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ন্যায়বিচারের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সামগ্রিক এবং তা জীবনের সব দিকেই পরিব্যপ্ত। যে পথ ধরে গেলেই ন্যায়বিচারে পৌঁছা যাবে, সেটাই ইসলামি আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে ধরে নেয়া হয়। আল্লাহ চেয়েছেন ন্যায়বিচার। তিনি এ জন্য কেবল একটি পথ বেঁধে দেননি; তিনি সাধারণ নীতিমালা দিয়েছেন ন্যায়বিচারের জন্য। কিভাবে তা অর্জিত হবে, সেটা স্থির করে দিয়েছেন। তাই যাবতীয় উপায়-উপকরণ, পন্থা-পদ্ধতি, যা কিছুই ন্যায়বিচারে সহায়ক কিংবা এর বিকাশ ও অগ্রগতি সাধন করে থাকে আর সেটা যদি ইসলামি আইন লঙ্ঘন না করে, তা বৈধ বলে গণ্য হবে।
আল কুরআন ন্যায়বিচারের যে মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণী-গোত্র নির্বিশেষে সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। কারণ মুসলমানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন বন্ধু ও বৈরী, সুহৃদ ও শত্রু সবার প্রতি একই ভাবে ন্যায়বিচার করা হয়। সবপর্যায়েই ন্যায়নীতি অবলম্বন করা চাই।
আল কুরআন বলছে : ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর প্রতি সাক্ষী হিসেবে ন্যায়বিচারের সপক্ষে দণ্ডায়মান হও সুদৃঢ়ভাবে, যদি তা তোমাদের নিজেদের, তোমাদের মাতা-পিতার এবং আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে যায়, অথবা ধনী বা গরিবের বিরুদ্ধে যায় ……..’ (৪:১৩৫)।
কুরআনের আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, কোনো জনগোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণাবিদ্বেষ যেন তোমাকে ন্যায়বিচার থেকে বিচ্যুত না করে। ন্যায়পরায়ণ হও; কারণ এটাই পরহেজগারি বা ধর্মপ্রাণতার সবচেয়ে কাছের বিষয় ….. (৫:৮)
অমুসলিমদের সাথে সম্পর্কের প্রসঙ্গে কুরআন বলছে, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি তোমাদের ঈমান ইস্যুতে কিংবা যারা তোমাদের উচ্ছেদ করেনি বাড়িঘর থেকে, তাদের কল্যাণ এবং তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করতে তো আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না। …. (৬০:৮)।
আল কুরআন বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এই নির্দেশগুলো সব জাতি, সব ধর্মাবলম্বী তথা বাস্তবে গোটা মানবজাতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এক কথায়, কুরআনের দৃষ্টিতে ন্যায়বিচার করতে আমরা বাধ্য।

 

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo