শহর প্রতিনিধি-ফেনীর আলোচিত ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক একরাম হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আসামিদের সাফাই সাক্ষীর তারিখ আগামী ২৮ নভেম্বর ধার্য্য করা হয়েছে। রবিবার বিকালে জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হকের আদালত এই আদেশ দেন।
জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহাম্মদ বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘একরাম হত্যা মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার মধ্যে দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলার ৫৬ জন আসামির মধ্যে ৪৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জন ফেনী কারাগারে, তিন জন কুমিল্লা কারাগারে ও ২০ জন জামিনে আছেন। রবিবার ৪২ জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। তিন আসামির আইনজীবী তাদের মক্কেলদের অসুস্থতা কারণে অনুপস্থিতির জন্য সময় প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন। অন্যতম আসামি মো.সোহেল র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট মোট ৫৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ পর্যন্ত ৪৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার ১৫ জন আসামি কোনও না কোনওভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
৫৬ জন আসামির মধ্যে একমাত্র বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরী ছাড়া অন্য সব আসামি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চেয়ারম্যান একরামুল হককে গাড়ির গতিরোধ করে কুপিয়ে, গুলি করে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।