আদালত প্রতিবেদক-ফেনীর আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হক হত্যা মামলায় বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনার চৌধুরীকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মিনার চৌধুরীকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। তবে এ জন্য মিনার চৌধুরীকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
আদালতে মিনার চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে মিনার চৌধুরীর জামিনের বিষয়টি হাইকোর্টকে বিবেচনা করতে বলে গত ১৯ মার্চ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করেন। আপিলের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ১৫ অক্টোবর আদালতে ফের জামিন আবেদন করেন মিনার চৌধুরী। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ তাকে ছয় মাসের জামিন দিলেন।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন,‘ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে জামিন আবেদন বিবেচনা করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় হাইকোর্টে গত রবিবার জামিন আবেদন করেন মিনার চৌধুরী। বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের শুনানি হয়। আজ (রবিবার) আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালত শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা রেখে তাকে জামিনে যেতে হবে।’ হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনপি নেতা মিনার চৌধুরীকে গত বছর ২৪ নভেম্বর ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না– তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে জামিন বাতিল হয়ে যায়।
২০১৪ সালের ২০ মে ফুলগাজী যাওয়ার সময় ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় একরামুলকে নিজের গাড়িতে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় ভাই রেজাউল হক জসিম ওইদিনই ফেনী জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক মাহাতাব উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামি দেখিয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।