ফেনী
শুক্রবার, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৪২
, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে মুক্তিপণের টাকাসহ গোয়েন্দা পুলিশের দলকে আটক করেছে সেনাবাহিনী

 

কথা ডেস্ক-কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাতজনকে নগদ ১৭ লাখ টাকাসহ আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল। বুধবার ভোরে ডিবির ওই সাত সদস্যকে আটক করা হয়।
অপহৃত ব্যবসায়ীর নাম আবদুল গফুর। তিনি কম্বলের ব্যবসা করেন। তাঁর বড় ভাই টেকনাফ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান ভোর রাতেই প্রথম আলোর কাছে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আমার ভাইকে কক্সবাজার থেকে ডিবির একটি দল অপহরণ করেছে। তাঁকে আটক করে আমাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হচ্ছে। আমরা টাকা দিতে রাজিও হই। তবে টাকা দেওয়ার বিষয়টি টেকনাফ সেনাবাহিনীকে অবহিত করেছি। পরে ভোররাত ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর লম্বরী ক্যাম্পের কিছু দূরে ১৭ লাখ টাকা দেওয়ার পর আমার ভাইকে ছেড়ে দেয় ডিবি সদস্যরা। ডিবি পুলিশের দলটি কক্সবাজার ছাড়ার পথে সেনাবাহিনীর ওই ক্যাম্পে তাঁদের আটক করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‍্যাব টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ বলেন, আবদুল গফুরকে  মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তাঁরা। কিন্তু দর-কষাকষির পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাঁকে ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিনড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া।

ওই সূত্র জানায়, এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান। সাতজনকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাঁদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের জানান তাঁরা। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আটক করা ডিবি সদস্যদের জেলা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo