শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য ভাইরাসের মতো গরম আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস কি ক্ষয় হয়ে যাবে? গবেষণায় দেখা যায় গরম আবহাওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মাত্রা বা তীব্রতা কমে যায়। তবে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে বৃষ্টির কোনো ভূমিকা নেই। আল্ট্রাভায়োলেটের করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণের গতি ধীর করে দেয়। মোট কথা গরম আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস মারা না গেলেও সংক্রমণের মাত্রা এবং তীব্রতা কম থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শীতকালে সংক্রমিত হওয়ার কারণে বিদেশের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে। শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য ভাইরাসের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় গরম চা, লেবু চা, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল সেবন করা যায়।
মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, এলকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। ইতিমধ্যে আমাদের দেশের সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। শুধু তাই নয় মাস্ক না পরলে জেল জরিমানা হতে পারে। এতদিন পরে এসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সব দেশকে তিন স্তরের মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেছে। মাস্ক পড়ার পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সংক্রমণ প্রতিরোধে।
এক্ষেত্রে জনগণকে আরও বেশি সচেতন করে তুলতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ধুলে করোনাভাইরাস মারা যায়। শুধু করোনাভাইরাস নয় বরং সাবান দিয়ে হাত ধৌত করলে হেপাটাইটিস এ ভাইরাস থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে কোনো ভাবেই ঠাণ্ডা পানি বা কোমল পানীয় পান করা যাবে না।
কারণ শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসগুলো ঠাণ্ডা পরিবেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। জরুরি কাজে বাসার বাইরে গেলে যখন আপনি বাসায় ফিরে আসবেন তখন আপনার পোশাক পরিচ্ছদ সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। জুতা ঘরের ভেতর নেবেন না। জুতায় জীবাণু নাশক স্প্রে করতে হবে।
প্রতিদিন মোবাইল ফোন এলকোহল পেপার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি পালন না করলে আমাদের দেশ যেহেতু ঘনবসতিপূর্ণ তাই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। অতএব, আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। ভয় নয় বরং সাহস দিয়েই করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হবে।
লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ