রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪৪৫ জন। এ সময়ে ১৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৩ জন। সরকারি হিসাবে মৃত্যুহার ১.৮৭ শতাংশ। সুস্থতার হার ১১.২৫ শতাংশ। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নমুনা পরীক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছে। পরীক্ষায় পজিটিভ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়া এবং তার সংক্রমণের কারণ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে তাকে ও সংক্রমিত অন্য ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়াই এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় বলে সাব্যস্ত। রবিবার পর্যন্ত দেশে প্রতি ১০ লাখে ৪৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার হার ০.০৪ শতাংশ।
বিশ্বের সর্বোচ্চ সংক্রমিত সাতটি দেশ ও প্রতিবেশী ভারতসহ এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার মিলে মোট ১২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মৃত্যু ও সুস্থতার হার তুলনা করে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি, রাশিয়া, ইরান, চীন, ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুহার কম, তবে রাশিয়া ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশি। শ্রীলঙ্কা ছাড়া প্রতিটি দেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। আর সুস্থতা ও নমুনা সংগ্রহের দিক থেকে বাংলাদেশ তুলনীয় সব দেশের পেছনে। বাংলাদেশে সুস্থতার হার অনেক কম; নমুনা পরীক্ষাও অনেক কম। এ ক্ষেত্রটিতে আমাদের অবশ্যই উন্নতি করতে হবে।
পরীক্ষার সংখ্যা যে কম—এ কথা ঠিক। পরীক্ষা কম হওয়ায় অনেক সম্ভাব্য আক্রান্ত ব্যক্তি সম্পর্কে আমরা অবহিত হতে পারছি না। তবে শুরুর দিকের পরীক্ষার চেয়ে এখন পরীক্ষার হার বেড়েছে। এখন পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার পরও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছেন, এমন অনেক মানুষকে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার এ পরীক্ষার জন্য যত লোক দরকার, আমাদের আছে তার সামান্যই। অনেকে অভিযোগ করছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের অব্যবস্থাপনার কারণে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে।
তার পরও চিকিত্সাযোদ্ধারা লড়ছেন। তাঁদের সহায়তার স্বার্থে, মানুষকে সুস্থ রাখার স্বার্থে পরীক্ষার সংখ্যা দ্রুত বাড়ানোর উদ্যোগ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে নিতে হবে। কে আক্রান্ত তা জানা থাকলে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ সহজতর হবে। অজান্তে তাদের দ্বারা সংক্রমণের হার অনেক কমবে। পরীক্ষা বাড়ানোই এখন প্রয়োজন।