ফেনী
শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:৫৮
, ২৭শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
গৃহযুদ্ধের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সমৃদ্ধ এশিয়া গড়তে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান ড. ইউনূসের ফেনীতে গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ বাংলাদেশকে করিডোর দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহবান বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি উত্তরা’র দোয়া ও ইফতার মাহফিল ইয়াং স্টার ক্লাবের দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফরহাদ নগর ইউনিয়ন বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ফসলি জমির মাটিকাটা রোধে গভীর রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান,এস্কেভেটর-ট্রাক জব্দ বালিগাঁওয়ে প্রতিপক্ষের বাধায় থমকে গেল ব্যবসায়ীর গৃহ নির্মাণ,হামলার অভিযোগ বিশিষ্টজনদের মিলনমেলায় পরিণত রামপুর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের দোয়া ও ইফতার

কাদেরের বক্তব্যর সময় ছাত্রলীগের স্লোগান, বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ করেছে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগ। নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের মুসলিম হল মিলনায়তনের সামনে এ বিক্ষোভ দেখায় ছাত্রলীগ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণে এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়ে গাড়িতে ওঠার পর সন্ধ্যায় এ বিক্ষোভ হয়।

সোমবার চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রয়াত আতাউর রহমান খান কায়সারের স্মরণসভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে নগর ছাত্রলীগ মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুরুতর আহত করা হয় ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্তকে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নগরের সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাবা মেঘনাদ বিশ্বাস।

ছাত্রলীগের বিক্ষোভের মুখে ওবায়দুল কাদের স্মরণসভায় বলেন, চট্টগ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতার স্মরণসভা এটা। এখানে একটা আবেগ ও সেন্টিমেন্ট আছে। তোমাদের (ছাত্রলীগ) কোনো কথা থাকলে আমার সঙ্গে পরে বলতে পারো। এই স্মরণসভার গাম্ভীর্য ও মর্যাদা তোমাদের রক্ষা করতে হবে।

প্রসঙ্গ না ঘুরিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আবার বলেন, ‘চট্টগ্রামে মাঝেমধ্যে আমাদের তরুণদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য রক্তক্ষরণ ঘটে। আমি জানি না, কেন এসব হয়।’ এরপর ছাত্রলীগ আবার মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে সুদীপ্তর খুনিদের বিচারের দাবি তুললে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের খেই হারিয়ে যায়। আবার ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার কথা শুনতে হবে, ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা) মানতে হবে। নইলে আমি কথা বলব না।’

স্লোগান বন্ধ হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কয়েক দিন আগে (শুক্রবার সকালে) যে ঘটনা (সুদীপ্ত হত্যাকাণ্ড) ঘটেছে, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশ কমিশনার ও প্রশাসন—সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এসব ঘটনায় ক্ষমা করে দেওয়ার সংস্কৃতি দেখতে চাই না। আমি বলেছি, যারাই হত্যাকারী হোক, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে, শাস্তি দিতে হবে। তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। এখানে কোনো আপস নেই। এ ধরনের ঘটনার উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি কমে যাবে।’
সেতুমন্ত্রী প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করুন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কারণ, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নেই। সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তরা দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় মঞ্চে এবং নেপথ্যে যারা জড়িত এবং তারা যতই প্রভাবশালী হোক, কাউকে ক্ষমা করা যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বক্তব্য শেষ করে মুসলিম ইনস্টিটিউটের সামনে থাকা গাড়িতে উঠলে ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মী পথে দাঁড়ান। তাঁরা সুদীপ্ত হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘প্রতিবাদের শেষ পথ/ অস্ত্র হাতে রাজপথ’। এ সময় ছাত্রলীগের নগর কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা বিক্ষোভকারীদের গাড়ির সামনে থেকে হঠাতে হিমশিম খান। তবে গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়নি। ধীরগতিতে গাড়ি আঙিনা থেকে রাস্তায় আনা হয়। এরপর ওবায়দুল কাদের চলে যান।

সুদীপ্ত খুনের তদন্তে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় সব আসামিকে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। পুলিশের কয়েকটি টিম রাত-দিন মাঠে কাজ করছে। আসামিরা ধরা পড়বেই।’

ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার অনুসারীরা সুদীপ্ত হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের কারণে ওই আওয়ামী লীগ নেতা সুদীপ্তকে খুন করিয়েছেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!