করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলায় সংগৃহীত মানুষের নমুনা নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।বর্তমানে কিট সংকটে ওই ল্যাবে গত চারদিন ধরে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।ফলে ফেনীতেও গত শুক্রবার থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রাখায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল ফেনী জেলায় প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে জেলায় ধারাবাহিকভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেড়ে চলছে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তে সংখ্যা ৬শ ৫৩ জন। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪শ ৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হলে ৩ হাজার ২শ ৭১ জনের প্রতিবেদন আসে। ফেনী জেনারেল হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে ১৩ জন। মারা গেছেন ১৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১শ ৩০ জন। করোনায় মারা গেছেন ১৪ জন।
জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক ডা. শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, ফেনীতে প্রতিদিনই বাড়ছে নমুনা সংগ্রহের আবেদন। বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু হঠাৎ কিট সংকটে রোগী শনাক্তকরণ কাজ থমকে গেছে। গত ১৯ জুন থেকে কিট সংকটের কারণে ফেনীতে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় সংক্রমণের ঝুঁকি আরো বেড়েছে।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আরএমও মো. ইকবাল হোসেন ভূঞা জানান, কিট সংকট থাকায় নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ থেকে নমুনা পাঠাতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা শুক্রবার (১৯) থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রেখেছি। কিট পাওয়া গেলে পুনরায় নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বলেছেন, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগারে নমুনাজট ও যন্ত্র মেরামতের কারণে গত ৪ দিন কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। এভাবে আরও অনেক মানুষকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্বের কারণে নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা করোনায় আক্রান্ত কি না, তা দ্রুতসময়ে জানতে পারছেন না। এতে নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মৃদু ও স্বল্প উপসর্গ নিয়ে অনেকে কর্মস্থলে গিয়ে কাজ করছেন। তাদের মাধ্যমে অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন। ফলে জেলায় প্রতিনিয়ত করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করে