কুমিল্লা প্রতিনিধি-কুমিল্লা সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে ঢুকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা তিন বিজিবি সদস্যকে মারধর করেছে। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। তবে পরে বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ।
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের কেরানীনগর মধ্যমপাড়া গোলাবাড়ি বিওপি সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা সীমান্তের কেরানীনগর মধ্যমপাড়া এলাকায় দুই নারীকে চোরাকারবারী সন্দেহে ধাওয়া করেন বিএসএফের এক সদস্য। তিনি নো-ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে বাংলাদেশের প্রায় তিনশ গজ ভেতরে ঢুকে যান। এসময় বিজিবির গোয়েন্দা বিভাগের ফিরোজ নামের এক সদস্য বিএসএফ সদস্যের কাছে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা চান। কথা বলার এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্য ও ভারতের ৮/১০ জন স্থানীয় লোক বিজিবি সদস্য ফিরোজকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাংলাদেশের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে এবং বিএসএফ সদস্যকে ধরে স্থানীয় গোলাবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বাহালুল সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনার একপর্যায়ে ভারতের ৪০/৫০ জন লোক এবং বিএসএফের ২৫/৩০ জনের একটি দল বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। তারা টহলরত দুই বিজিবি সদস্য ও বিজিবির গোয়েন্দা সদস্য ফিরোজকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বিএসএফ ফাঁকা গুলি চালায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে গেলে বিএসএফ ও ভারতীয় লোকজন পালিয়ে যায়।
চেয়ারম্যান জানান, পরে বিজিবির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত তিন বিজিবি সদস্যকে উদ্ধার করে।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কুমিল্লা ১০ বিজিবির কর্মকর্তারা। পরে তারা বিএসএফের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠকে বসেন।
বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম সারোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত, অধিনায়ক পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ প্রতিনিধিরা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’