কথা ডেস্ক-তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় মুখর চট্টগ্রাম আইটি-আইটিইএস জব ফেয়ার-২০১৭ শেষ হয়েছে। চাকরি মেলা থেকে সরাসরি চাকরি পেয়েছেন ১১৩ জন এবং প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে ৬৯৫ জন। বৃহস্পতিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জিইসি মিলনায়তনে আয়োজিত এ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রজেক্ট (এলআইসিটি), পিকাবু ও আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়াং যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান গ্রেট এন্ড স্মার্ট টেকনোলজীসহ ৫০টি আইটি কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে চাকরি প্রার্থী তরুণ-তরুণীদের সাক্ষাৎকার নেন এবং প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেন। চাকরি মেলায় যোগ দিতে গত ১০ দিনে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ১০ হাজারের বেশি স্নাতক অনলাইনে নিবন্ধন করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী চাকরি মেলায় আসেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে আইটি-আইটিইএস খাতে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং ২০ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী গড়ে তোলা। এ লক্ষ্য পূরণে আমরা ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চাকরি মেলার আয়োজন করি। সে ধারাবাহিকতায় আজকের এ আয়োজন। আশা করছি আগামীতে এ ধরনের আয়োজন আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তিতে তরুণ-তরুণীদের দক্ষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এই তরুণদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তারুণ্যই এখন দেশের বড় শক্তি।’
এলআইসিটি প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল করিম সকালে চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলায় চাকরি প্রার্থীরা সরাসরি চাকরিদাতাদের সামনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পেয়েছেন।
মেলায় চাকরি প্রার্থী তরুণ-তরুণীদের সাক্ষাৎকার নিতে এসে গ্রেট এন্ড স্মার্ট টেকনোলজী লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহরাব হোসেন মেহেদী জানান, ‘আজকে জাপান, আমেরিকা বয়সের সমস্যায় পড়েছে। তাদের ৫০ বছরের ওপরে গড় বয়স। অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। আর বাংলাদেশ বিশ্বের একটি অন্যতম তরুণসমৃদ্ধ দেশ। এটাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। বাংলাদেশে ৩৫ বছরের নিচে জনগোষ্ঠির সংখ্যা ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ১১ কোটির ওপরে।’ ‘বাংলাদেশের মানুষের গড় বয়স মাত্র ২৪। এটা গোটা বিশ্বের মধ্যে আমরা এই তারুণ্যতা উপভোগ করছি। এটা ২০৪১ সাল পর্যন্ত থাকবে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলা প্রয়োজন। তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান এবং আগামীর সম্ভাবনা বিষয়ে চাকরি মেলায় ৪টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।