দাগনভুইয়া প্রতিনিধি-দাগনভূঞায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মঙ্গলবার ধর্ষক দিদার হোসেনসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দেন নির্যাতিতার মা।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মোহরবাগ গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে দিদার হোসেন (২৩) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গত ১৯ অক্টোবর জোর পূর্বক তুলে ঢাকায় নিয়ে যায়। এসময় বোর্ডিংয়ে রেখে ৩ দিন ধরে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে ওই বখাটে। পরে ওই বখাটে নির্যাতিতা ছাত্রীকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী বাজারে রেখে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতা সেখান থেকে ফিরে এসে তার মাকে ঘটনাটি বললে তার মা অভিযুক্ত দিদারের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু তারা তাতে কর্ণপাত না করে উল্টো ভূক্তভোগীদের গালমন্দ ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি-ধামকি দেয়। বিষয়টি মিমাংশার জন্য সাবেক ইউপি সদস্য এনামুল হক বাহারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশে বসে। কিন্তু অভিযুক্তরা উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি মিমাংশা হয়নি। স্থানীয় পর্যায়ে বিচার না পেয়ে ধর্ষিতার মা আলেয়া বেগম গতকাল মঙ্গলবার ৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হল- ধর্ষক মো. দিদার হোসেন (২৩), তার ভাই মো. ইয়াছিন (২৬), মা ছেমনা খাতুন (৪৬) ও বোন জুলেখা আক্তার (২৮)।
দাগনভূঞা থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বখাটে দিদারসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।