নিজস্ব প্রতিবেদক-ফেনী-২ আসন থেকে নির্বাচিত নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া।
রবিবার বিব্রত হয়ে মামলার নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি অপর কোনো বেঞ্চ গঠন করবেন।
গত ৮ নভেম্বর রিট আবেদন শুনানির জন্য বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়ার একক বেঞ্চকে মামলাটি বিচার করার এখতিয়ার দেয়া হয়। এর আগে মামলাটি বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চে দেয়া হলেও রিট আবেদনকারী ফেনীর যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া এ আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেন। এ আবেদন দেয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নতুন এ বেঞ্চ গঠন করেন।
বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ৬ ডিসেম্বর দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন। রায়ে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি। আর বৈধ ঘোষণা করেন কনিষ্ঠ বিচারপতি।
দ্বিধাবিভক্ত রায় দেয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি।
এর আগে গত ২ জুলাই দ্বিধাবিভক্ত রায়ের কপি প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দেয়া হয়।
নিজাম হাজারীর কারাভোগ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন দাখিল করা হয়। অস্ত্র মামলায় সাজা কম খাটার অভিযোগ এনে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
এ রিট আবেদনে ২০১৪ সালের ৮ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ফেনী-২ আসন কেন শূন্য ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন হাইকোর্ট।