স্টাফ রিপোর্টার-ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকায় ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে জাহেদ আহম্মদ ইমনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় ায়েরকৃত মামলার ৬নং এজাহারভূক্ত আসামী সাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে শহরের পুলিশ কোয়র্টার এলাকার পঞ্চায়েত কমিটির পেছন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ওই এলাকার গনি মিঞা সওাগর বাড়ির সাহাব উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে শহরের শাহীন একাডেমী রোডে বৃদ্ধের উপর হামলার ঘটনায় মামলাসহ চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
ঘটনার তৃতীয় দিন ২ অক্টোবর সোমবার ইমনের পিতা খবির আহম্মদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত আসামী ফেনী মডেল থানায় এজাহার াখিল করে। কিন্তু থানায় মামলা রেকর্ডভূক্ত না করায় ৩ অক্টোবর ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আালতের মাধ্যমে থানায় এজাহারটি রেকর্ডভূক্ত করার আবেদন জানান তিনি। আদালত তা আমলে নিয়ে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে রেকর্ডভূক্ত করার নির্দেশ দেয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬ অক্টোবর ফেনী মডেল থানায় মামলাটি রেকর্ডভূক্ত করা হয়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে শাহীন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ রোডে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে শুভ নামের এক বখাটে। এতে ইমন বাধা দিলে তার ছেলের সাথে বখাটেদের বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় ওইস্থানে সাইফুল ইসলাম পিটুর নেতৃত্বে জ্যাকি, শুভ, জাবেদ, সাব্বির, পুপলসহ ৩০/৩৫জনের বখাটে ইমনের উপর হামলা চালায় বলে তার পিতা অভিযোগ করেন। এসময় তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সে রামপুরের গালর্স স্কুল সংলগ্ন খবির আহম্মদের ছেলে।
ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কামাল হোসেন সাকিবকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।