কথা ডেস্ক- বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাসের জেরে কিশোরী প্রেমিকা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই বেঁকে বসেছে প্রেমিক। প্রতিশ্রুতি রক্ষা তো দূরের কথা, উল্টে প্রেমিকার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত যুবকের পরিবার। লোকলজ্জার হাত থেকে বাঁচতে শেষমেশ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করল কিশোরী। মহকুমা শাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের পরই সমাজকর্মীরা নির্য়াতিতা কিশোরীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে।
ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। ঘটনা জানাজানি হতেই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সুতাহাটায় শোরগোল পড়ে গেছে। শাস্তির দাবি উঠেছে অভিযুক্ত যুবকের। থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে কিশোরীর পরিবার। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই শেষমেশ মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি লিখে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানিয়ে কিশোরী নিষ্কৃতি পেতে চাইছে।
তবে এই আবেদনের পর মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের। তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন সহবাস করে যুবক। এরই মধ্যে কিশোরী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে। এরপরই প্রকাশ্য চলে আসে পুরো বিষয়টি। জানাজানি হয়ে যায়। কিশোরীর পরিবার ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
কিন্তু অভিযুক্ত যুবক অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে বিয়ে করতে রাজি নয়। এরপরই উপায়ান্তর না থাকায় থানায় অভিযোগ জানায় নাবালিকার পরিবার।
অবস্থা বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত প্রেমিক। বেপাত্তা হয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু বিভিন্নভাবে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে ওই যুবকের পরিবার।
প্রেমের এই নিষ্ঠুর পরিণতিতে শেষপর্যন্ত নাবালিকা প্রেমিকা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করে। এর পরই নড়চড়ে বসে সমাজকর্মীরাও। প্রশাসনও তদ্বির শুরু করে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
মেয়েটি যাতে এই প্রতিবন্ধকতা থেকে বেরিয়ে এসে সামাজিক সুরক্ষা পায়, ন্যায়-বিচার পায়, তার দাবিও ওঠে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, স্বেচ্ছামৃত্যু কখনো সুস্থ সমাজের লক্ষণ হতে পারে না। তাকে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর জন্য সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।