শীতের মওসুম। বাজারে এসেছে সব ধরনের শীতের সব্জি। আর শীতকাল মানেই তো ফুলকপির নানা তরকারি। আপনিও নিশ্চয়ই ফুলকপি খেতে খুব পছন্দ করেন। সে তো আপনার স্বাদের জন্য খেতে ভালো লাগে তাই খান। কিন্তু জানেন কি যে, ফুলকপির রয়েছে দুর্দান্ত কিছু গুণও। এক ঝলকে জেনে নিন, ফুলকপি খেলে কী কী উপকার হয়।
১. কোলেস্টেরল কমে – নিয়মিত শীতকালে যদি ফুলকপি খান তাহলে, কমবে আপনার কোলেস্টেরল।
২. ওজন কমায় – ফুলকপি কিন্তু আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
৩. হাড় এবং দাঁতের শক্তি বাড়ায় – ফুলকপি খেলে দাঁতের এবং হাড়ের জোর বাড়ে। অর্থাত্, দাঁত এবং হাড় আরও বেশি শক্তিশালী হয়।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে – ফুলকপি ক্যান্সার রোগকে প্রতিহত করতে পারে।
৫. হার্টের জন্যও ভালো – ফুলকপি খেলে আপনার হার্ট সতেজ এবং ভালো থাকবে।
শীতকালে যেসব খাবারে ঠান্ডা কম লাগবে
শীতকাল মানেই হাড়কাঁপানো শীত।সারা দেশে ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। এখন দিনের বেলায় শীতের প্রভাব তেমন মালুম না হলেও, রাতের দিকে বেশ ঠান্ডা লাগে। ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়লে কী করতে পারেন আপনি? এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলো খেলে শীতের সময় তেমন ঠান্ডা লাগবে না। জেনে নিন সেগুলি কোন খাবার।
গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে খুবই সাহায্য করে এই সব্জি।
আপেল: আপেলে রয়েছে প্রায় ৪.৪ গ্রাম ফাইবার। আপেলের সলিউবল এবং ইনসলিউবল ফাইবার আমাদের দেহের উষ্ণতা ধরে রাখতে সক্ষম।
মধু: সর্দি-কাশি বা ফ্লু-র বিরুদ্ধে লড়তে আর এক অনন্য জিনিস হল মধু। শরীরকে গরম রাখতেও ভীষণ ভাল কাজ দেয় মধু।
আদা: শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া সর্দি-কাশি সারাতেও আদার জুড়ি নেই। শরীর উষ্ণ রাখতে শীতের সময় আদা-চা খেতে পারেন।
বাদাম: বিভিন্ন ধরনের বাদাম থেকে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার পাওয়া যায়। তা ছাড়া, বাদাম খেলে শরীরও গরম থাকে।
রসুন: সর্দি-কাশি বা গলাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে খুবই কার্যকরী রসুন। পাশাপাশি, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এরই সঙ্গে শরীরকে উষ্ণ রাখতেও সাহায্য করে রসুন।
মিষ্টি আলু: শীতকালের এই সব্জিটিতে রয়েছে শরীর থেকে ঠান্ডা দূর করার ক্ষমতা।
স্যুপ: শরীর গরম রাখতে গরমাগরম স্যুপ খেতে পারেন।