শহর প্রতিনিধি-ফেণীতে পিতার বিরুদ্ধে প্রতারণা, নির্যাতন ও বসত ভিটা দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিবন্ধী ফরিদা বাহার রিনা । শনিবার সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন ।
এসময় লিখিত বক্তব্যে রিনা জানান, ফুলগাজীর কিসমত ঘনিয়া মোড়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ বাহারের ঘরে তাঁর জন্ম । তারা ১ বোন ৫ ভাই। সে প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেঊ বিয়ে করতে রাজী না হওয়ায় সরকারী চাকুরী দিবে অথবা স্পেনে পাঠাবে বলে পরশুরাম উপজেলার কেতরাঙ্গা গ্রামের বেলাল হোসেনের সাথে ২০০১ সালে বিয়ে দেয় তাঁর পিতা ।
কিন্তু বিয়ের পর দেয়া প্রতিশ্রুতি না রেখে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় পিতা বাহার।এ নিয়ে শালিসি বৈঠকের আলোকে ২০০১ সালের এপ্রিলে তার পিতা হাবিবুল্লাহ বাহার মেয়েকে এক দাগে ১৮ ভূমি ও অন্য দাগে ৩৬ শতক বসত ভিটা রেজিষ্ট্রি করে দেন।পিতার দেয়া বসত ভিটায় স্বামীকে নিয়ে রিনা দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছে।
সম্পতি সে ওই ভিটা নামজারি করাতে গেলে তার পিতার প্রতারণা ধরা পড়ে। রিনা দেখে তার পিতা ৩৬ শতকের বসত ভিটাটির প্রকৃত দাগ না দিয়ে ৩১৫ এর স্থলে ৩১৬ দেন। এই দাগের মালিক মুজিবুল হক নামে অন্যজন। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়ের বসত ভিটা ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেন।হুমকিতে কাজ না হওয়ায় পিতা বাহার তার দুই সন্তান ও বহিরাগত নিয়ে বসত ঘরটি ভেঙ্গে দেন ও ভিটার মাটিও কেটে নিয়ে যায়।এসময় তারা বাধা দিলে তাকে ও তার ননদকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন প্রতিবন্ধী ফরিদা বাহার রিনা।
বিষয়টি নিয়ে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা মেজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার ছেয়ে ২১৬/১৭ মামলা দায়ের করে রিনা। বর্তমানে এটি বিচারাধীন। এছাড়া তার পিতাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তার পরিবার মানবেতর জীবন পন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে রিনার স্বামী জানান, তার শশুরের লেলিয়ে দেয়া মাস্তনদের ভয়ে সে কখনো মসজিদে কখনো রেল স্টেশানে রাত কাটাচ্ছেন। পরিবার এক প্রতিবেশীর বাড়ীতে রাত কাটাচ্ছেন। তার মেয়ের বই পত্র নিয়ে যাওয়ায় স্কুলে যেতে না পারায় ফুলগাজী গালর্স হাই স্কুলের প্রথান শিক্ষক তাকে বই ও স্কুল ড্রেস কিনে দিয়েছেন।