শহর প্রতিনিধি-ফেনীতে আন্ত:জেলা চোরাইদলের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।বুধবার শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে চুরিকৃত ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল- খুলনা জেলার দৌলতপুরের সেনপাড়ার মৃত ছিদ্দিক সরদারের ছেলে মো: হাসান (৪৫), খালিশপুরের মুজগুন্নি শেখ পাড়ার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মো: শেখ রাসেল (৩৫), শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার গোফর সোল্লাকান্দির মৃত আবুল কাশেম মৃধার ছেলে মো: নাসির উদ্দিন (৪০), নগরীপাড়ার মৃত রফিকের ছেলে মো: সোহেল (২৬), কুমিল্লার লাকসামের আউশপাড়ার কুতিগঙ্গার আলীম উদ্দিনের ছেলে মো: হাকিম (৫৫)।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর সকালে ফেনীর মিজান রোডস্থ সোনালী ব্যাংক থেকে ফেনীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্টোবর মাসের বেতন ভাতা বাবদ ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার ১শ ১২টাকা উত্তোলন করেন ক্যাশ সরকার নিখিলেশ চাকমা ও অফিস সহায়ক আসাদুল্লাহ। উত্তোলনকৃত টাকাগুলো তারা একটি কালো রঙের ব্যাগে ভরে ব্যাংক থেকে টমটম করে অফিসে ফেরেন।
অফিসে গেলে ডেসপাস ইসমাইল ভূঞা দেখতে পান যে, ওই কালো ব্যাগের নিচের অংশ কাটা। তাৎক্ষনিক ব্যাগ খুলে টাকা গুনে দেখা যায় ব্যাগে ১ হাজার টাকার ২টি বান্ডেল ও ৫শ টাকার ১টি বান্ডেলে মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কম রয়েছে। পথিমধ্যে কে কাবা কারা ওই টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওইদিন ফেনীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের নাজির মো: আলী বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব পায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশনায় মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তারা ঘটনার দিনের সোনালী ব্যাংক ও ট্রাংক রোডে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের গ্রেফতারে সোমবার থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওমর হায়দার, এস আই মো: শাহীন মিয়া, শহীদার রহমান, মনির হোসেনসহ পুলিশের সদস্যরা। এসময় ঘটনায় জড়িত থাকায় আন্ত:জেলা চোর চক্রের ৫ সদস্য মো: হাসান (৪৫), মো: শেখ রাসেল (৩৫), মো: নাসির উদ্দিন (৪০), মো: সোহেল (২৬), মো: হাকিম (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য মতে চুরিকৃত ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত মুলহোতাদের খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।