বিশেষ প্রতিনিধি-মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে প্রাণ বাঁচাতে ফেনীর সোনাগাজীতে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া সাত শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেলা প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বুধবার বিকালে মাইক্রোবাসে করে তাদের পাঠিয়ে দেয়।
ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন বুধবার বিকালে আশ্রিত রোহিঙ্গা পরিবারকে সোনাগাজী থেকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ে পাঠানো হয়। তাদের জন্য কুতুপালংয়ে দুই হাজার একর জমির ওপর নতুন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে সরকার। সেখানে তাদের রাখা হবে। রোহিঙ্গা পরিবারটিকে সেখানে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মাধ্যমে পরিচয়পত্রও দেবে সরকার।’
সূত্র জানায়, ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্য থেকে পায়ে হেঁটে চলতি মাসের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সীমান্তে আসে সাত শিশুসহ ১৩ সদস্যের এক রোহিঙ্গা পরিবার। ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী গ্রামে (১ নং ওয়ার্ড) মাতাব্বর বাড়িতে এসে তারা আশ্রয় নেন। ওই বাড়ির সিরাজুল রোহিঙ্গা পরিবারটির অভিভাবক মোহাম্মদ জাফর আহম্মদের ভায়রা। সিরাজ সাত বছর আগে রাখাইন রাজ্যে গিয়ে বিয়ে করেন। জাফর আহম্মদের দুই মেয়েকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। আরেক মেয়ের কোনও খোঁজ পাননি জাফর। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ায় ও প্রাণের ভয়ে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে চলে আসে পরিবারটি।