শহর প্রতিনিধি-ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম রিপন (২৬) কে ইউপি চেয়ারম্যান ইসহাক খোকনের নির্দেশে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।সোমবার সকালে ফেনীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করে খুনীদের গ্রেফতারের দাবী করেছে তার পরিবার।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে ছাত্রলীগ নেতা রিপনের মা সাজেদা বেগম ও পিতা শফি উল্যাহ বলেন, ২৫মার্চ রাতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইসহাক খোকনের নির্দেশে পাইকপাড়া স্কুল মাঠে স্বেচ্ছাসেবকলীগের মঞ্চ ভাংচুর করার সময় রিপনকে তলপেটে গুলি করে হত্যা করেছিল চেয়ারম্যানের ভাই রোকন উদ্দিন(২৮) , ইউপি সদস্য সেলিম, (৩৫), তাদের সহযোগী মোশারফ হোসেন(৩৬) , আমিনুল ইসলাম কালা মানিক( ২৭), মো: শাকিল(২৬) ও মমিনুল হক(৩০) । ওই রাতে পুলিশ উল্লেখিত খুনীদের আটক করেছিল। পরদিন চেয়ারম্যান ইসহাক খোকন স্থানীয় কিছু নিরিহ ব্যাক্তিদের আসামী করে একটি এজাহার তৈরী করে জোরপুর্বক তাতে শোকে কাতর নিহত রিপনের মায়ের টিপসই নেয় । ওই এজাহারে আটককৃত মুল খুনীদের সাক্ষী বানিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয় খোকন। প্রথমে পুলিশ এজাহার নিতে গড়িমসি করলেও সন্ধ্যায় অদৃশ্য কারনে এজাহারটি গ্রহন করে নিরিহ লোকদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করে ।মুল খুনীদের ব্যাপারে পুলিশকে বার বার বিষয়টি অবহিত করা হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
উপরোক্ত মুল খুনীদের আসামী করতে ১১ অক্টোবর নিহতের মা সাজেদা বেগম ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোনাগাজী আমলী আদালত বরাবরে আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: জাকির হোসাইন এর আদালতে শুনানীর পর আবেদনটি গুরুত্বের সহিত বিবেচনার জন্য সোনাগাজী মডেল থানাকে নির্দেশ দেন।
নিহত রিপনের ছোট ভাই ছাত্রলীগ কর্মী কোরবান আলী সাংবাদিকদের বলেন ,ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান খোকনের পক্ষে না থাকায় ছাত্রলীগ নেতা হয়েও হাইব্রিট আ’লীগ নেতা কর্মীদের হাতে নির্মম ভাবে আমার ভাই রিপন নিহত হয়। হত্যাকারীদের দ্রত আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী , স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফেনী জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।