সোনাগাজী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার কাজীরহাট বাজারে ১৭ জুলাই সকাল ১০ টায় ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর অালম ও রাজুকে প্রকাশ্যে গুলির ঘটনার ৪মাস ১৩ দিন অতিবাহিত হবার পরেও উদ্বার হয়নি সেই অস্ত্র গুলো। গ্রেফতার হয়নি ঘটনায় জড়িত বেলায়েত হোসেন সৌরভ ও সোহেলসহ অজ্ঞাতরা ।এ নিয়ে ভুক্তভোগিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।তবে পুলিশ আন্তরিকভাবে অস্ত্র উদ্বার ও জরিতদের আটকের চেষ্টা করেছে বলে সুত্র জানায়।
জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ জুলাই সকাল ১০ টায় বেলায়েত হোসেন সৌরভ, জাহিদুল ইসলাম ও সোহেলের নেতৃত্বে ৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অটোরিক্সা যোগে সোনাগাজী উপজেলার কাজিরহাট বাজারের পশ্চিমে এসে চরদরবেশ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর অালম ও বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাজুকে লক্ষ করে দুই-রাউন্ড গুলি ছোড়ে।এসময় তাদের অার্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান,এলাকায় চাঁদাবাজীতে বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা চেষ্টা করেছিল হামলাকারীরা।তারা যুবদলের সক্রীয় কর্মী এবং প্রয়াত জলদস্যু কমান্ডার ভাগিনা কালামের লোক বলে তিনি জানান। খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার এসআই অাবুল খায়েরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সা ও দুটি গুলির গোসা জব্দ করেন।
এ ঘটনায় অাহত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর অালম বাদী হয়ে ওই দিন রাতে তাদের আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় এজাহার দাখিল করেন।কিন্তু তা পুলিশ রেকর্ডভুক্ত করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে ।পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িত জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করলেও অস্ত্র উদ্বার-হামলার ঘটনায় তাকে আসামী না দেখিয়ে অন্য মামলার আসামী দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
পুলিশ সুত্র জানায়,সন্ত্রাসীরা পলাতক রয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে জলদস্যুদের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘটনায় জড়িত সৌরভ ।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নাশকতা, চাঁদাবাজী, হত্যা চেষ্টাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে।
তবে ঘটনার ৪মাস ১১ দিন অতিবাহিত হবার পরেও মুল হোতা সৌরভ এবং সোহেল এখনো আটক কিংবা গ্রেফতার হয়নি। তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র গুলো উদ্ধার করতে পারেনি অাইনশৃঙ্খলা বাহীনি।এ নিয়ে ভুক্তভোগিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি হুমাউন কবির ফেনীর কথা ডটকমকে জানান, থানায় ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের দাখিলকত এজাহার তার অনুরোধে রেকর্ডভুক্ত করা হয়নি।ওই ঘটনায় একজনকে পুলিশ আটক করলেও তাকে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।তবে অস্ত্র উদ্বার ও ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করেছে পুলিশ ।যা এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।