শহর প্রতিনিধি-ফেনীতে বাল্য বিবাহ দেয়ার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত হন।ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির আগেই বর ও কাজী পালিয়ে যায়।বৃহস্পতিবার বেলা ৩ টায় সদর উপজেলার লালপোল হাজী বশির উল্লাহ কমপ্লেক্স এর আল মক্কা কমিনিউটি সেন্টারে এ ঘটনায় ঘটে।
এসময় কনের জন্ম সনদ জাল করে ১৬ বছর ৬ মাসের যায়গায় ১৮ বছর ৬ মাস দেখানোর অপরাধে লেমুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ উদ্দিন নাছিম ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানার নিকট মুচলেকা দেন।

সুত্র জানায়,ওই স্থানে উত্তর চাঁদপুরের জসিম উদ্দিনের মেয়ে সুরাইয়া বিনতে জসিমের সাথে কালিদহ ইউনিয়নের পূর্ব সিলোনিয়ার মফিজুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন আলমগীর (৩০) এর বিয়ের আয়োজন করা হয়।
কিন্ত বিয়েটি বাল্য বিবাহ ছিল এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।এ সময় কনের পিতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানান, তার মেয়ের একটি জন্ম সনদ আছে । জন্ম সনদ ইস্যুর তারিখ ১৫-০৩-২০১৫ ।আর সনদে স্বাক্ষরের তারিখ ১২-০৯-১৭।বিষয়টি সোহেল রানার সন্দেহ হলে তিনি কনের এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ উদ্দিন নাছিমকে ফোন করে আসার জন্য বললে তিনি আসার পর মেয়ের বাবা স্বীকার করেন, তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে সনদের তথ্য জাল করেছেন।তাতে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের স্বাক্ষরও জাল ছিল।
তখন মেয়ের মূল বয়স অনুযায়ী বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৪ ধারায় বিবাহ বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।এ ঘটনায় চেয়ারম্যান নাছিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট একটি মুচলেকা প্রদান করেন ।
এ ব্যপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে বাল্য বিবাহ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।তাই এ নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।