ফেনী
মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:০৬
, ৪ঠা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের দুর্নীতির তদন্ত শুরু ফেনীতে দুর্গাপূজায় নাশকতা ঠেকাতে মণ্ডপ পাহারায় থাকবে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই বছর ধরে প্রবাসী হয়েও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদে বহাল! ধর্মপুর এডুকেশনাল এস্টেটের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বন্যা প্রতিকারে ৮ দফা দাবি জানিয়ে ফেনীতে এবি পার্টির মানববন্ধন ফাজিলপুরে জামায়াতের ইউনিট সভাপতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর রোগমুক্তি কামনায় ফেনীতে দোয়া মাহফিল ফেনীতে অসহায়দের মাঝে জামায়াতের অটোরিকশা-নগদ অর্থ বিতরণ  ৫৩ বছরেও তিস্তা নদীর চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিলেন ছাত্রদল নেতা 

ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী প্রাণহানি ১

ভারতীয় উজানের পানি ও টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ। ৮৬ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি।ফলে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বন্যাদুর্গতরা।এতে ১ প্রাণ হারিয়েছেন ও ১ নিখোঁজ রয়েছে।২৭৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৫৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।এতে করে ৪৮০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।সেনাবাহিনীসহ উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা এখন পর্যন্ত ৩০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেন।

এদিকে সোমবার রাত ১০টার দিকে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর পশ্চিমমাথা এলাকায় চার বন্ধুর সাথে বেড়িবাঁধের ভাঙনকবলিত স্থানে মাছ ধরতে যান মিজানুর রহমানের ছেলে মো: রাজু। একপর্যায়ে প্রবল স্রোতে ভেসে যান তিনি। স্থানীয়রা রাজুকে উদ্ধার করে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে পরশুরাম উপজেলা ও পৌরশহরসহ ৪৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ১৪৭০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।এখন পর্যন্ত ২৪৬০ জনকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ও ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কিন্তু সেখানে উদ্ধার কাজে তেমন অগ্রগতি জানা যায়নি।

বন্যাদুর্গত এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। এরমধ্যে কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চাল পর্যন্ত ছুয়েছে বন্যার পানি। আশ্রয়ের খোঁজে স্থানীয়রা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, মংগলবার রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় দু’টি ডিঙি নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।এখন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার কাজে নেমে পড়ে।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরো পাঁচ শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির উচ্চতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আরো পাঁচ শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৮ টন চাল মজুদ রয়েছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মত শাহীনা আক্তার বলেন, ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেধিবাধের ভাংগন সংস্কার করা হবে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo