ফেনীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর খুরশিদ আলম ভুইয়া ১১ বছর চাকরি করে কোটি টাকার মালিক ও নামে বেনামে বহু প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে দুদুক।সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর জেলা সমন্বয়ক অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল হক অভিযোগে উল্লেখিত সম্পদের তালিকা অনুসারে সরেজমিন তদন্ত করেছেন।
জানা যায় ফেনী সদর উপলোর জেয়ারকাছাড় এলাকার মো খুরশীদ আলম ভুইয়া ২০০৯ সালে ফেনীর চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরিতে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আলোচিত সব মামলা সকল প্রকার জামিন, মামলা থেকে খালাসসহ যাবতীয় বিষয়নিয়ে চুক্তি করেন এ খুরশীদ। এতে করে খুরশীদ আলম অল্পদিনে দুটি ড্রুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার, একটি হাসপাতাল,একটি লেন্ডটেক ও একটি ফামেসীর মালিক হয়ে যান।তার এ সকল সম্পদের বিবরণ দিয়ে দুদকের তদন্তের দাবী জানিয়ে অভিযোগ করেন শশর্দী ইউনিয়নের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য আবদুল মালেক।অভিযোগের আলোকে দুদক তার এ অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
মিশন হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মোঃশাহজালাল বলেন, খুরশীদ আলমের মালিকানা আছে কিনা দুদকের সহকারী পরিচালক সকালে তাদের হাসপাতালে এসে জিজ্ঞাসা বাদ করেছেন।
দুদক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল জানান ,খুরশীদ আলমের নামে অভিযোগ রয়েছে। তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন জমাদেওয়া হবে।
খুরশিদ আলম ভুইয়া অভিযোগের বিষয়ে বলেন, তিনি চক্রান্তের শিকার।এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে রাজি হননি ।