কথা ডেস্ক -ফেনীর স্টার লাইন স্পেশাল ও এনা পরিবহনে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন আবদুল্লাহপুরগামী যাত্রীরা। জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে ওই রুটে ফেনীর কোন পরিবহন যেতে পারছেনা। এর ফলে চাকরীজীবিসহ বিদেশ ফেরত ও বিদেশগামী যাত্রীরা বিড়ম্বনাসহ নানা অসুবিধার শিকার হচ্ছেন। সময়মত অফিসে পৌঁছাতে না পারায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন আব্দুল করিম নামের এক যাত্রী। তার স্ট্যাটাসটি হুবুহ ফেনীর কথা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
‘ভাই আমার কি অপরাধ? আমাকে যেতে দিন আর আধা ঘণ্টার মধ্যে অফিসে যেতেই হবে,না হলে চাকরি থাকবে না আমার। এটি ফেনীর একজন গার্মেন্টস কর্মকর্তার অনুরোধ পরিবহন লাইনের চেকারদের প্রতি। ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে হঠাৎ করে ফেনীর কোন বাস ঢুকতে দিচ্ছে না কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে। এর ধরুন ফেনীর প্রবাসী যাত্রীদের অনেক বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে, এবং বাড়তি অর্থ খরচ হচ্ছে। বিষয়টি খুবে দুঃখজনক বটে। কিন্তু এরচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে যে দুটি পরিবহণ কো¤পানির মালিক হচ্ছেন ফেনীর সন্তান, অথচ ফেনীর সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি এই সমস্যার যে কারন তা, খুঁজতে গিয়ে যা দেখলাম তা দেখে রীতমত অবাক হতে হলাম। সবাই এমন কেন ঠিক বুঝতে পারছি না, যেখানে যে পাচ্ছেন সেখানেই অনৈতিকভাবে ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। একটা বিষয় বুঝতে হবে যে যাই করেন, আমাদের ছাড়া কিন্তু কোন গতি নেই। কেননা আমরাই যদি না থাকি তবে আপনা দের ব্যবসার কি হবে? আপনাদের পরিবহনে আপনারাই যাত্রী হইয়েন।
সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি অনুরোধ করছি এই সকল অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে সেবার মান বৃদ্ধি করে যাত্রীর মন জয় করেন। যে যেখানে ভালো সেবা পাবেন সে সেই কোম্পানির পরিবহনে যাতায়াত করবেন। ফেনীতে পরিবহন ব্যবসার একটা ভালো বাজার আছে বলে এখানে আরো দুই একটি পরিবহন কো¤পানি ব্যবসা করতে পারেন এতে কারো কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। চলমান দুটি পরিবহণের কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন আমরা সাধারণ মানুষ অসহায় তবে এটা ভুল করবেন। আমরা ফেনীর মানুষ জানি কি করে ঠিক করতে হয়, বাধ্য হলে তাই করতে হবে। কেননা আপনাদের দ্বন্দের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা সাধারণ মানুষ, যেমনটি ঐ চাকরিজীবি ব্যক্তির চাকরি ক্ষেত্রে ঘটেছে। কেউ কি তার কোন খবর নিয়েছেন??? মনে রাখতে হবে বাঘের বয়স কিন্তু বারো বছর এবং বারো বছর একদিন থেকেই কিন্তু বাঘ বিড়াল হয়ে যায়।’’