স্টাফ রিপোর্টার-ফেনী ইন্সটিটিউট অব কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজির শিক্ষক পেয়ার আহম্মদ মজুমদারের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকালে বিদ্যুৎপৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার হলেও লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় হত্যা করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইন্সটিটিউটের গনিত বিভাগের শিক্ষক পেয়ার আহমদ মজুমদার (৩০) দুই সহকর্মী খাগড়াছড়ি জেলার সুকান্ত বড়–য়া ও নোয়াখালীর মোস্তাফিজুর রহমান সহ আইসিএসটি ভবনের তৃতীয় তলায় হোস্টেলে থাকেন। সুকান্ত বড়–য়া, অপর শিক্ষক বাপ্পি ও কয়েকজন শিক্ষার্থী গতকাল সকালে পেয়ার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বলে তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সকাল ৮টার দিকে ওমর ফারুক নামের আরেক শিক্ষক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে মর্মে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পেয়ারের বাবা জাফর আহম্মদ মজুমদার, ভাই জহির আহম্মদ মজুমদার, জাকির হোসেন মজুমদার, ভগ্নিপতি আবু ইছহাক হাসপাতালে ছুটে আসে। পরবর্তীতে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ময়নতদন্তের আবেদন জানায়। লাশটি ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
জহির আহম্মদ মজুমদার জানান, তারা হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারে পেয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।
নিহত শিক্ষক পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে পেয়ার আহমদের মৃত্যুতে কলেজ ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে।