ফেনী
রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৩৫
, ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিমের দুর্নীতির তদন্ত শুরু ফেনীতে দুর্গাপূজায় নাশকতা ঠেকাতে মণ্ডপ পাহারায় থাকবে বিএনপি নেতাকর্মীরা দুই বছর ধরে প্রবাসী হয়েও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক পদে বহাল! ধর্মপুর এডুকেশনাল এস্টেটের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বন্যা প্রতিকারে ৮ দফা দাবি জানিয়ে ফেনীতে এবি পার্টির মানববন্ধন ফাজিলপুরে জামায়াতের ইউনিট সভাপতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর রোগমুক্তি কামনায় ফেনীতে দোয়া মাহফিল ফেনীতে অসহায়দের মাঝে জামায়াতের অটোরিকশা-নগদ অর্থ বিতরণ  ৫৩ বছরেও তিস্তা নদীর চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারেনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিলেন ছাত্রদল নেতা 

বাণিজ্যিক সাফল্যের শীর্ষে সাজেল চৌধুরীর ‘সখের খামার’

কেউবা দারিদ্র বিমোচনের জন্য আবার কেউবা বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বি হতে খামার গড়ে তুলেন। কিন্তু নিতান্তই শখের বসে গড়া খামার যেমন অন্যান্যদের অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তেমনই স্থানীয় চাহিদা পূরন হওয়ায় দেখা দেয় উজ্জল সম্ভবনাময়। এমন এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পরশুরাম পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল। তাঁর খামারের দেখা দেখিতে পরশুরামে এখন ছোট বড় বেশ কিছু বানিজ্যিক খামার গড়ে উঠেছে। পরশুরাম উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো সাদেক জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় গরুর খামার করে সাজেল চৌধুরী বানিজ্যিকভাবে সফলতার দিক থেকে জেলায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছেন। বর্তমানে ফেনীর জেলার সবচেয়ে বড় গরুর খামার হচ্ছে সাজেল চৌধুরীর খামার। চৌধুরীর খামারে দেশীয় ঘাস, ভুসিসহ সব ধরনের খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, গরুর খামারের পাশাপাশি তার খামারে বর্তমানে দেশীয় জাত ছাড়াও উন্নত জাতের ছাগলের খামারও রয়েছে।
আবদুল খালেক নামের এক গরু ব্যবসায়ী জানান, তিনি প্রতিবছর সাজেল চৌধুরীর গরুর খামার থেকে গরু কিনে বাজারে বিক্রি করেন, তাঁর খামারে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে বিভিন্ন ধরনের গরু পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশীয় গরু এবং দেশীয় পদ্ধতিতে মোটা তাজা করায় ক্রেতাদের কাছে সাজেল চৌধুরীর গরুর প্রতি বেশী আগ্রহ বেশী।
তিনি আরো জানান, কোরবানীর জন্য এ যেন ছোট্ট এক গরুর হাট , ছোট বড় মাঝারি সব ধরনের গরু পাওয়া যায় এই খামারে। সূলভমূল্যে ক্রয় সুবিধা থাকায় সাজেল চৌধুরীর গরুর খামারে সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেশী। তাই প্রতিবছর জেলার বিভিন্ন স্থানে কোরবানির গরু কিনতে চৌধুরীর খামারে ভিড় জমে অসংখ্য ক্রেতাদের।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রানী সম্পদ কর্মকর্তাদের মতে, মেয়র সাজেল চৌধুরী জেলায় বানিজ্যিকভাবে সবচেয়ে বৃহৎ গরুর খামার করে প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপজেলায় বর্তমানে ৫০টি সহ বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় খামার থাকলেও জেলার সবচেয়ে বৃহৎ গরুর খামার গড়ে তুলেছেন সাজেল চৌধুরী। তার খামারে বর্তমানে রয়েছে প্রায় আড়াইশ গরু। যাহা শুধুমাত্র কোরবানীর ঈদে বিক্রির উদ্যেশ্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে। যার সম্ভাব্য বাজার দর হিসাবে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা।
চৌধুরীর গরুর খামার এলাকায় ব্যাপক পরিচিত লাভ করায় স্থানীয়ভাবে গরুর চাহিদা পূরন হচ্ছে। তাছাড়া ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া, ফেনীসহ আশপাশের এলাকার লোকজনও তার খামার থেকে গরু কিনতে ছুটে যাচ্ছেন।
নিজের জমিতে বিশাল আকৃতির গরুর খামারটি ধীরে ধীরে সেই খামারটির পরিসর বড় হয়েছে। তিনি হয়ে উঠেছেন জেলার গরু খামারিদের আইডল।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বলছে, মেয়র সাজেলের খামারটি জেলার সবচেয়ে বড় গরু খামার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার পরশুরাম উপজেলার পৌর এলাকার গুথুমার নিজ গ্রামে মেয়র সাজেল তার নিজস্ব জমিতে গড়ে তুলেছেন ফেনী জেলার সবচেয়ে বড় গরুর খামার। নিতান্তই শখের বশে গড়ে তোলা খামারটি যেমন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত তেমনই উজ্জ্বল সম্ভবনাময় খামারের স্বীকৃতি লাভ করেছেন।

মেয়র সাজেল চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, নওগাঁ, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম থেকে উন্নত জাতের গরুগুলো ৬ মাস আগে ক্রয় করে নিয়ে আসেন তার খামারে। তার খামারের গরুগুলোকে কোনো প্রকার কৃত্রিম ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না। প্রাকৃতিকভাবেই গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। এ গরুর খামার পরিচালনার কাজে দুই শিফটে কাজ করেন অভিজ্ঞ ২৫/৩০ জন কর্মচারী।
ভবিষ্যতে বড় আকারের একটি ডেইরি ফার্ম করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মেয়র সাজেল। এছাড়া তিনি বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৫৩টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। তার পুকুরে রুই, কাতল, বোয়াল, পাঙ্গাস, কই, শিং, মাগুরসহ বিভিন্ন দেশী জাতের মাছের চাষ হচ্ছে।
চলতি বছরে জেলার সফল মৎস্য চাষি ও উপজেলায় টানা আট বার শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি হিসেবে পুরস্কার লাভ করেছেন মেয়র সাজেল। মাছ চাষ ও গরুর খামারে স্থানীয় বেশকিছু বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo