কথা ডেস্ক-দুনিয়ার প্রতিটি ভাল কাজের প্রতিদান তখনই আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে, যখন ভাল কাজ করা ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় নেক আমল তথা ভাল কাজের কথা উল্লেখর সঙ্গে সঙ্গে ঈমানের কথা উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকর্ম (ভাল কাজ) করে, তাদের জন্য সুসংবাদ যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৫)
সুরা কাহাফের ১০৭ নং আয়াতে এসেছে, ‘নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে তাদের অভ্যর্থনার জন্য আছে জান্নাতুল ফেরদাউস।’
আল্লাহ তাআলা সুরাতুল আসর-এ উল্লেখ করেন, ‘সময়ের কসম! নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তারা ব্যতীত যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎ কাজ করে।’
আর এ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, ঈমাণ থাকলে ভাল কাজের মাধ্যমেই পরকালের চিরক্ষতি ও ধ্বংসের হাত থেকে মুক্ত হয়ে সফলতা লাভ করবে ঈমানদার মানুষ।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ এবং চিরন্তন সাফল্য ও জান্নাতের সৌভাগ্য অর্জন করা, পৃথিবীর প্রতিনিধিত্বের কর্তৃত্ব লাভ করা, দীন প্রতিষ্ঠিত করা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করার পূর্বশর্ত হলো আমলে সালেহ বা ভাল কাজ।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে সফলতা লাভে ভাল কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমার ঈমানকে খাঁটি কর; অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট।’
সমাজে শান্তি স্থাপন, সমঝোতা স্থাপন, মিলে মিশে চলা, ঝগড়া বিবাদের নিষ্পত্তি করে নেয়া, মধ্যপন্থা অবলম্বন করা, সংযমশীল হওয়া ইত্যাদি ছোট ছোট ভাল কাজগুলো নাজাতের জন্য সহায়ক।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে অনেক জায়গায়ই ঈমান ও নেক আমলের কথা বলেছেন। কেননা নেক আমল হলো ঈমানের ভিত্তি। আল্লাহ তাআলা নেক আমলকারীদেরকে উত্তম ও পবিত্র জীবন দানের ঘোষণা দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পুরুষ বা নারী যে কেউই বিশ্বাসী হয়ে সৎ কাজ করবে; তাকে আমি নিশ্চয়ই সুখী জীবন দান করব এবং তাদেরকে তাদের কর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।’ (সুরা নহল : আয়াত ৯৭)
আল্লাহ তাআলা অন্যত্র ঘোষণা করেন, ‘তবে যে ঈমান আনবে এবং ভাল কাজ করবে তার জন্য প্রতিদান স্বরূপ আছে কল্যাণ; এবং তার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলব।’ (সুরা কাহাফ : আয়াত ৮৮)
পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় অকল্যাণ থেকে মুক্তি দানে ঈমানের সঙ্গে নেক আমল তথা ভাল কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।