ফেনী
মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:২৪
, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

যে সব খাবার ভুলেও ফ্রিজে রাখবেন না

 

কথা ডেস্ক-বাংলাদেশের মতো গরম আবহাওয়ার দেশে খাবার ঠিকভাবে না রাখলেই তা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার অনেকের রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কিনে ওঠার মতো আর্থিক সঙ্গতি থাকে না। তবে যারা রেফ্রিজারেটর কেনেন, তাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না, কোন খাবার জিনিসগুলি ফ্রিজে রাখা উচিত আর কোনগুলি নয়। আর তা না জেনেই অনেক জিনিসই আমরা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিই যা কখনও করা উচিত নয়।
দেখে নিন, কোন কোন খাবার জিনিস একবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেওয়া মানেই তা নষ্ট হয়ে যায়।
টম্যোটো : টম্যোটো ফ্রিজে রাখলে তা শক্ত হয়ে যায় ও স্বাদ চলে যায়। তবে টম্যোটো পাকাতে চাইলে কাগজে মুড়িয়ে তা ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।

আলু : ফ্রিজে রাখা মানেই আলুর স্বাদ বদল হয়ে যাবে। তাই শুকনো জায়গায় আলু রাখলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

তেল কখনও তেল ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। ঘরোয়া তাপমাত্রায় তেল রাখলেই তা বহুদিন ভালো থাকে।

আচার : আচারকে ফ্রিজে না রেখে জানলার পাশে যেখানে সূর্যের আলো পড়ে সেখানে রাখলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
পাঁউরুটি : ফ্রিজে রাখলে পাঁউরুটির মধ্যে থাকা ভিজে ভাব শুকিয়ে যায়। তাই তা কখনও করা উচিত নয়।

রসুন : ফ্রিজে রাখলেই স্বাদ ও গন্ধ চলে যায় রসুনের। একইসঙ্গে তা তাড়াতাড়ি পচেও যায়।
পেঁয়াজ : পেঁয়াজ বহুদিন ভালো রাখতে চাইলে পেপারের ব্যাগে ভালো করে মুড়িয়ে রাখলেই তা তাজা থাকে। তার জন্য ফ্রিজের কোনও প্রয়োজন নেই। এছাড়া আলু ও পেঁয়াজ কখনও একসঙ্গে রাখতে নেই।
জ্যাম : অনেক সময়ে আমরা জ্যাম বা জেলিকে ফ্রিজে রাখি। তবে তা করলে এর মধ্য়ে থাকা প্রিজারভেটিবস দানা বেঁধে যায়। তাই তা কখনও করা উচিত নয়।
কফি: কফির প্যাকেট বা কৌটো ফ্রিজে রাখলে তা জমে গিয়ে স্বাদ চলে যায় ও গন্ধ বদলে যায়।

খোসাতে গুন যেসব ফলের

চাষবাসের ক্ষেত্রে যেভাবে আজকাল যথেচ্ছ কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, তাতে ফল বা সবজির গায়ে লেগে থাকে নানা জীবাণু। তাই সেগুলি খাওয়ার আগে খোসাটা মোটা করে কেটে নিলেই এড়ানো যাবে রোগবালাই। এটাই ধারণা বেশিরভাগ মানুষের। কিন্তু, জানেন কি? এমন কিছু ফল ও সবজি রয়েছে, যেগুলির আসল গুণ লুকিয়ে রয়েছে তার খোসাতেই। কাজেই খোসা কেটে বাদ দিয়ে দিলে, ফেলনা হয়ে যায় নানা প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। আপনার ফল-সবজি খাওয়ার উদ্দেশ্যটাই জলে যায়। কাজেই জেনে নিন, কোন কোন ফল বা সবজি খোসা সমেত খাবেন।
আপেল: বেশিরভাগ লোকই খোসা সমেত আপেল খেতে পছন্দ করেন। তবে, শুচিবায়ুগ্রস্ত অনেকে আবার আপেল খাওয়ার আগেও সযত্নে সেটির খোসা ছাড়িয়ে নেন। কিন্তু, জানেন কি, গোটা একটা আপেলের থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি পুষ্টি ও ফাইবার থাকে আপেলের খোসাটিতে। এছাড়াও আপেলের খোসায় রয়েছে এসিই এনজাইম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমানোয় বিশেষ সহায়ক।
তরমুজ : অনেকে ভাবছেন, তরমুজের এত শক্ত খোসা আবার কি করে খাবেন? না, তরমুজের একেবারের বাইরের সবুজ খোসা নয়, সেটি কাটলে লাল তরমুজের গায়ে সাদা রঙের যে অংশটি থাকে, সেটিকেও অনেকে কেটে বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু, তাঁরা জানেন না, তরমুজের ওই সাদা অংশেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি৬ ও সিট্রুলিন নামে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ উপকারী।

লেবু : ঘরে ঘরে লেবু জুস করে খাওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে। কমলা হোক বা মুসম্বির রসই খেতে বেশি পছন্দ করে ছোট-বড় সবাই। কিন্তু জানেন কি, একটা লেবুর জুস খেয়ে যেটুকু পুষ্টি আপনার শরীরে যাচ্ছে, লেবুটির খোসাটিও যদি খেতেন, তবে পেতেন আরও অন্তত ২০ গুণ বেশি পুষ্টি। যেকোনও লেবুর ক্ষেত্রেই একই কথা প্রযোজ্য।
শশা : একটু তিতকুটে স্বাদের কারণে অনেকেই শশার খোসা ফেলে দিয়ে খেতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু শশার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সিলিকা, যা ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। কাজেই তিতকুটে ভাব কাটাতে শশার খোসাটি কেটে বাদ দিয়ে দিলে কিন্তু শশার উপকারিতার ১০০% পাওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন।
আলু : হোটেল বা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে যদি দেখেন আলুর খোসা সমেতই রান্না করে দিয়ে দিয়েছে, তাহলে নিশ্চয়ই মেজাজটা গরম হয়ে যায়। কিন্তু, যদি বলি, আপনি বাড়িতেও আলু রান্না করুন খোসা সমেতই। অবাক হচ্ছেন? আসলে আলুর খোসা ছাড়িয়ে রান্না করলে আপনি অনেক পুষ্টির অপচয় করবেন। কারণ আলুর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন কে, কপার ও আয়রন, যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই আলু খোসা না ছাড়িয়ে খাওয়াই ভালো।
গাজর : একই কথা প্রযোজ্য গাজরের ক্ষেত্রেও। গাজরও খাওয়া উচিত খোসা সমেতই। গাজরের খোসাতেই লুকিয়ে থাকে অনেক অনেক পুষ্টিকর উপাদান। যা আমাদের চোখ, ত্বক, কোলনের সুরক্ষা করে। তাই গাজরটি খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন, কিন্তু খোসা ফেলে দেবেন না।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!