ফেনী
মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:৩০
, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে প্রশংসিত’

 

 নিজস্ব প্রতিবেদক-মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জাপানের কোচি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিরোকো মিয়ামি। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।’

বাংলাদেশে সফররত জাপানের কোচি বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব নার্সিং -এর স্পেশালি অ্যাসাইন্ড প্রফেসর ড. হিরোকো মিনামি মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে বাংলাদেশর এই প্রশংসা করেন। এসময় রাজধানীতে এক হাজার শয্যার জাতীয় শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট নির্মাণে জাপানের সহায়তা চেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের গত আট বছরের সাফল্য বিশ্বে প্রশংসিত। সরকার এই সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এলক্ষ্যে দেশের সাতটি বিভাগে একটি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে এবং চতুর্থ জাতীয় স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর প্রকল্পে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার রাজধানীতে একটি শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এই হাসপাতাল নির্মাণে জাপান এগিয়ে এলে এদেশের কোটি কোটি শিশু উপকৃত হবে।’জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতসহ যোগাযোগ, অবকাঠামো এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের ধারাবাহিক অবদান এদেশের জনগণ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।’ জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আগামীতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য জাপান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সির সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব নার্সিং সার্ভিস প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে ড. হিরোকো মিনামি মন্ত্রীকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়াতে নার্সদের শিক্ষার মানোন্নয়ন, নার্সিং প্রশাসন ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিসের আধুনিকায়নের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্প গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় শিশু হাসপাতাল স্থাপনে বাংলাদেশের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার, জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতোসহ মন্ত্রণালয় ও জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!