ফেনী
মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৩৯
, ১১ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
সংস্কার ধোঁয়া তুলে ষড়যন্ত্র করা হলে দেশের সমস্যা বাড়তে থাকবে সোনাগাজীতে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতার পরিবারকে বাড়ি উপহার দিলেন তারেক রহমান চাঁদাবাজি করলে শহীদদের রক্তের অসম্মান হবে সংসদের উচ্চকক্ষে সখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হলে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত হবে না ইসলামি আন্দোলন ফেনীর কমিটি গঠন,সভাপতি এনাম- সেক্রেটারি একরাম ১৪ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে বরাত সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ফেনীর কমিটি ঘোষণা রাজাপুরে হিলফুল নূর ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র উপহার ফেনীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ফেনী বড় মসজিদের এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠলো আ.লীগ আবার ফিরবে,জয়বাংলা

রোহিঙ্গাদের চোখ ভিন্ন কিন্তু চোখের পানি সকল মুসলমানের-এরদোগান

ইমরান আনসারী, নিউ ইয়র্ক থেকে-মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, রোহিঙ্গাদের চোখ ভিন্ন হতে পারে কিন্ত এ চোখের পানি বিশ্বের সকল মুসলমানের।তিনি আরো বলেন, আজকে কোথাও মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্ত হলে তাদেরকে জঙ্গি বলা হয়। কিন্তু এখন বুদ্ধদের দ্বারা মুসলমানরা আক্রান্ত। কিন্তু তাদেরকে জঙ্গি বলা হচ্ছে না। এটাই আজ চরম বাস্তবতা। রোহিঙ্গা মুসলিমদের রক্ষায় যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট এরদোগান।তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ ইয়কের্র একটি হোটেলে তার্কিস আমেরিকান ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি আয়োজিত এক সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন।

এসময় এরদোগান আরো বলেন, আমার স্ত্রী ও সন্তান ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছে। রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার বর্ণনা শুনে গাঁ শিউরে উঠে। আজকে এ জনগোষ্ঠীকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। রোহিঙ্গাদের রক্ষায় তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলেও জানান তিনি।এরদোগান আরো জানান, তুরস্ক ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জন্য ৭০ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণসহায়তা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এটি অব্যাহত থাকবে।এসময় তিনি একটি হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তিনিই প্রকৃত মুসলমান যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদে থাকে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি আমেরিকানদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু এরদোগানের বক্তব্য শুরুর ৫ মিনিটের পরই ফতুল্লাহ গুলেনের এক সমর্থক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কিছু সময়ের জন্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। এর পর আরো তিনবার অনুরূপভাবে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে বাকী তিনজনকেও উপস্থিত লোকজন কিল ঘুষি মারে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাকি তিনজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। চার দফা বাধার পরও এরদোগান সাবলিল ভাষায় তার বক্তব্য শেষ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এরদোগানের এই থামিয়ে দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo