বিনোদন প্রতিনিধি-ডিভোর্স কার্যকর হওয়ার খুবই কাছাকাছি তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। গত বছরের ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন স্বামী শাকিব খান। আইনগত ভাবে, নোটিশ পাঠানোর তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তালাক কার্যকর হওয়ার বিধান রয়েছে।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিব খান কর্তৃক অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। সেই হিসেবে, আর মাত্র ১০ দিন বাকি। আড়াই মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও দুজনের মধ্যে যেহেতু কোনো সমঝোতা হয়নি, তাই ওইদিনই আইনগত ভাবে আলাদা হয়ে যাবেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ওইদিন থেকে তাদের মধ্যে আর কোনো আইনগত সম্পর্কই থাকবে না।
তালাকের নোটিশ পাঠানোর পর অবশ্য তারকা জুটি শাকিব-অপুর সংসার টেকাতে উদ্যোগী হয়েছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে গত ১৫ জানুয়ারি ডিএনসিসির অঞ্চল-৩-এর অফিসে দুই তারকা দম্পতিকে নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে অপু উপস্থিত থাকলেও হাজির ছিলেন না শাকিব খান। সালিশির বিষয়ে জানা সত্ত্বেও তিনি তখন শুটিংয়ের কাজে দেশের বাইরে ছিলেন। হাজির ছিলেন না শাকিবের পরিবারের সদস্যরাও। অপু একা হাজির হওয়ায় দুই তারকার মধ্যে কোনো সমঝোতাই হয়নি। যার ফলে, ডিভোর্সই হতে চলেছে শোবিজের সবচেয়ে আলোচিত এ জুটির।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই জুটি ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন। এরপর দীর্ঘ নয় বছর সেকথা গোপন করে রাখেন। গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে জন্ম হয় তাদের একমাত্র সন্তান আব্রাম খান জয়ের। গোপন রাখা হয় এই খবরটিও। অবশেষে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সাত মাসের ছেলেকে নিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হন অপু বিশ্বাস। প্রকাশ করেন সবকিছু।
এ ঘটনায় শাকিব খান প্রথমে ক্ষুব্ধ হলেও পরে সবকিছু স্বীকার করেন এবং অপুর সঙ্গে সুখে সংসার করবেন বলে জানান। কিন্তু সেই সুখের সংসার আর পাতা হয়নি। তারপর থেকে একদিনও এক ছাদের নিচে থাকা হয়নি তাদের। উপরে উপরে সবকিছু মেনে নিলেও ভেতরে যে একটা ক্ষোভ ছিল সেটা অবশেষে প্রকাশ করে দেন নায়ক। ‘ছেলে জয়কে তালাবদ্ধ করে অপু বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কলকাতায় ঘুরতে গেছেন’- এমন অভিযোগ এনে গত ২২ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব খান।
যদিও পরে অপু ফিরে এসে শাকিবের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, তিনি কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন এবং ছেলে জয়কে শাকিবের কোনো আত্মীয়ের কাছে রেখে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না বলেই কাজের মেয়ে শেলীর কাছে রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কিছুই কানে তোলেননি শাকিব খান। নড়েননি নিজের সিদ্ধান্ত থেকেও। যার ফলাফল ডিভোর্স।