ফেনী
শনিবার, ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:১৭
, ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
রাজাপুরে হিলফুল নূর ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র উপহার ফেনীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ফেনী বড় মসজিদের এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠলো আ.লীগ আবার ফিরবে,জয়বাংলা উপজেলা-পৌর কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে চরদরবেশ ইউনিয়ন বিএনপির আনন্দ মিছিল নিজ দলীয় ত্যাগী-নির্যাতিত কর্মীর পাশে থাকায় ষড়যন্ত্রের শিকার বিএনপি নেতা আহবায়ক কমিটি দিয়ে ৫ বছর পার ফেনীর বিএনপির ফাজিলপুরে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন নানা আয়োজনে ফেনী মুক্ত দিবস পালিত ঢাকাস্থ ফাজিলপুর যুব কল্যাণের জিপিএ ৫ সংবর্ধনা আ.লীগের রাজনীতি করার অধিকার আছে কিনা তা জনগণই ঠিক করবে-ফখরুল

এলাকা উত্তাল,আমি বিব্রতঃ সমস্যা কোথায় ? সমাধান কোথায় ?

সাংবাদিক নান্টুকে চোর-ডাকাতের গডফাদার বললেন যুবলীগ নেতা ভুট্টো

১৯৯৫ সাল । তখন আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি । প্রতিদিনের মত স্কুল মাঠে অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়ালাম। হঠাৎ কারামতিয়া বাজার থেকে ৩০/৪০ জন আওয়ামীলীগ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাসের হাট বাজারে এলো। একটু পরেই জমাদার বাজার থেকে প্রায় দুই শতাধিক বিএনপি ধর-ধর করে আওয়ামীলীগকে ধাওয়া করলেন । আওয়ামীলীগ নেতারা পালিয়ে কিছু স্কুলের ভেতরে আশ্রয় নিলো, কিউ -কেউ কুদ্দুস কাকার বাড়িতে আশ্রয় নিলো, অন্যরা কারামতিয়ার দিকে পালিয়ে গেলো। স্কুলের ভেতরে যে সকল আওয়ামীলীগ আশ্রয় নিয়েছে তাদের মধ্যে হেলাল ভাইয়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিক কাঞ্চন ভাই । এক পর্যায়ে বিএনপির ধাওয়া খেয়ে আওয়ামীলীগ উধাও । আমি ভয়ে বাড়িতে চলে যাই । প্রায় ২ মাস স্কুলে আশি নি । কাঞ্চন ভাইয়ের হাতের সেই ধারালো লম্বা কিরিসটির কথা এখনো মনে আছে । ( কাঞ্চন ভাই ক্ষমা করে দিবেন , আপনাকে দিয়ে শুরু না করলে আমার কলামটি সম্পূর্ণ হবে না ) যা হোক ……..।

সেই ১৯৯৫ সাল থেকেই সর্বপরি ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর আমাদের এলাকা বিএনপির দখলে ছিলো । এখনো বিএনপির দখলে বলা যায় । এলাকায় অসংখ্য বিএনপির ক্যাডারের জম্ম হয়েছে। এ সকল বিএনপির ক্যাডারদের হাতে -হাতে ছিলো পিস্তল – বন্দুক – রাইফেলসহ ভারী -ভারী অস্ত্র । সেই ক্যাডার গুলোর মধ্যে দুই- একজন মারা গেলেও বাকিরা জীবিত আছেন । অনেকেই এলাকায় আছেন । কিন্তু অস্ত্র গুলো তো প্রশাসন উদ্ধার করতে পারেনি । অস্ত্র গুলো কোথায় ? যা হোক ………।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ৩০/৪০ জন বিএনপির সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা চালিয়ে এলোপাথারি গুলি করে । এতে ছাত্রনেতা নয়নসহ ৬ জন আহত হয়েছে। কিন্তু ছবিসহ ওই সকল বিএনপির ক্যাডারদের তালিকা প্রশাসনকে দেয়া হলেও কোন মামলা হয়নি এবং কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি কেন ? সে অস্ত্র গুলো কোথায় ? যা হোক …………………………..।

সেই ১৯৯৫ সাল থেকেই সর্বপরি ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর আমাদের এলাকায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে, হামলা করেছে আওয়ামীলীগের বাড়িঘরে , হামলা করেছে কারামতিয়া বাজারে ,হামলা করেছে দাসের হাট বাজারে এবং হামলা করেছে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে । সে সকল বিএনপির সন্ত্রাসীরা এখনোও আছে এলাকায় । সে মামলা গুলো কোথায় ? সে আসামি গুলো কোথায় ? যা হোক ………………………………….।

এবার একটু পেছন থেকে শুরু করি । দীর্ঘদিন আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ সাহেব। অথাৎ বর্তমান চেয়ারম্যান ভূট্টোর বাবা। এপর দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপির নেতা আবুল কালাম আজাদ। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ২০১১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবুল কালামের কাছে হেরে যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস সাহেব। ওই নির্বাচনে ইলিয়াছ সাহেব ৩য় স্থানে হয়েছেন। ২য় স্থানে ছিলেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মানিক । একদিকে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় অন্যদিকে তখন ভুট্টো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পুরো এলাকায় । ভুট্টো নিজাম হাজারীর লোক বলে এলাকায় পরিচিত । কিন্তু এলাকায় তার কোন অবস্থান নেই । বয়সও কম । গুটি কয়েক নেতারা ভুট্টোকে চিনেন । এক কথার এলাকার জন্য হাইব্রিড বলা যায় । ভুট্টো তখনো মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ ছিলো । কেউ -কেউ বলছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ নির্বাচনে পেল করলে ভুট্টোর খারাপ ব্যবহারের কারণেই করবে । নির্বাচনের দুইদিন আগে সন্ধ্যার সময় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রফেসর নাফিজ সাহেবের বাড়িতে বোমা মারে । কারণ, প্রফেসর নাফিজ সাহেব নির্বাচন করলে ভুট্টোর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ সাহেবের পরাজয় নিশ্চিত । এদিকে প্রফেসর নাফিজ কারো কথা শুনবেন না তিনি নির্বাচন করবেন । তাই প্রফেসর নাফিজ সাহেবকে ঠেকাতে তার বাড়িতে বোমা মারলেন ভুট্টো। প্রফেসর নাফিজ সাহেবের বাড়িতে বোমা মারার খবর শুনে সাথে – সাথে ভুট্টোকে ফোন দিয়ে বললাম আমি আপনার সাথে দেখা করবো । ভুট্টো আমার সাথে দেখা করতে অপরাগতা প্রকাশ করলেন । ওই নির্বাচনে প্রফেসর নাফিজ সাহেব ছাড়াও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আরও ৪/৫ জন । এক দিকে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা অন্যদিকে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৫/৬ জন । ইলিয়াছ সাহেবের বিরুদ্ধে এত বিদ্রোহ কেন ? এত প্রার্থী কেন ? তা হলো তো বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ সাহেবের পরাজয় শতভাগ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেলো । যা হোক ……….।

নির্বাচনের দিন সকালে কারামতিয়া বাজারে ভুট্টোর সাথে আমার দেখা হয় । তখন কালা – চিকনা কথা বলতেন মুখে বাজিয়ে। যা হোক …………………… । বিকালে ভোট গণনা । উপজেলা অডিটরিয়ামে । সংবাদকর্মী হিসেবে আমিও হল রুমের ভেতরে ছিলাম । সন্ধ্যা ৭ টা । মনে হয় সর্ব শেষ ৫ নংইউনিয়ন ঘোষণা হলো । প্রথমে বিএনপি প্রার্থী আবুল কালাম এর নাম ঘোষণা হলো । এরপর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মানিকের নাম ঘোষণা হলো । এমন সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছ সাহেব হাই- মাউ করে কেঁদে দিলেন । প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ইলিয়াছ সাহেবকে ধমক দিয়ে থামালেন। ইলিয়াছ সাহেবকে ধমক দেয়ার কারণে ওই প্রশাসনের কর্মকর্তাকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল সাহেব( ৪ নং মতিগঞ্জ বাড়ি ) গমর হয়ে গেলেন । যা হোক………………..। ইলিয়াছ সাহেবের সেই কান্না আমার এখনো মনে আছে । সরকার আওয়ামীলীগ । চেয়ারম্যান বিএনপির ! যাই হোক ……………….।

২০১৬ সালের নির্বাচন । ভুট্টো নৌকার টিকেট পেলেন । কিন্তু একই ভাবে ভুট্টো সাহেবের পথের কাটা প্রফেসর নাফিজ সাহেব । বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রফেসর নাফিজ সাহেব ভোট করলে ভুট্টোর পরাজয় নিশ্চিত। দিশেহারা ভুট্টো । এক পর্যায়ে প্রফেসর নাফিজ সাহেবের কাছে ক্ষমা চেয়ে রেহাই পেলেন ভুট্টো । নির্বাচন থেকে সরে আসলেন প্রফেসর নাফিজ । কিন্তু ধানের শীর্ষ শক্ত প্রার্থী এবং রানিং চেয়ারম্যান আবুল কালাম এর নিয়ন্ত্রণে ভোটের মাঠ । প্রফেসর নাফিজ ও ভুট্টো এক হয়ে ঠেকাতে হবে ধানের শীর্ষকে । দল পাগল নাফিজ সাহেব কোমরে গামছা ভেধেঁ নেমে গেলেন নৌকার প্রার্থী ভুট্টোর জন্য । দলিয় নেতাকর্মী থেকে সব কিছু দেখবাল করেন নাফিজ প্রফেসার । হঠাৎ ভোটের দুই দিন আগে অস্ত্র সহ ধানেন শীর্ষ প্রার্থী ও রানিং চেয়ারম্যান আবুল কালাম অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ! কিন্তু মাঠ ছাড়েনি ধানেন শীর্ষ সমর্থকেরা । ভোটের দিন সকাল ১০ টার দিকে দাসের হাট কেন্দ্রে ধানেন শীর্ষ সমর্থকের ধাওয়া খেয়ে ভুট্টো উধাও হয়ে গেলেন । ওই নির্বাচনে নৌকার কয়েকজন সমর্থকও হামলার শিকার হয়েছে । শেষ মেস ভুট্টো চেয়ারম্যান হলেন । যা হোক ………………।

২০১৬ সালে চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আস্তে – আস্তে রুপ পালটে যাওয়া শুরু হয়েছে ভুট্টোর। এলাকায় নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে গিয়ে ৫১ দিন জেল খেটেছেন । দুদকে মামলা খেয়েছেন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় , পুলিশ সুপার , জেলা প্রশাসর , সোনাগাজী মডেল থানায় , যুবলীগের কেন্দ্রিয় কার্যালয় ও জেলা আওয়ামীলীগ থেকে শুরু করে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ লিখিত দিয়েছে ভুক্তভোগিরা । সব কিছু মিলিয়ে ভুট্টো চেয়ারম্যান যতই লাপালাপি করোগ না কেন গলায় দড়ি দিয়ে বাধাঁ বলে আমার মনে হচ্ছে । যা হোক …………..।

এদিকে,২০১৬ সাল থেকে অথাৎ ভুট্টো চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে এলাকার ছা্ত্রলীগ – যুবলীগ – আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের প্রায় নেতাকর্মীদের সাথে দ্বন্ধ হয়েছে । দলিয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে /ঘরে অস্ত্র ও মাদক আছে বলে পুলিশ পাঠিয়েছেন । পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছেন অসংখ্য দলিয় নেতাকর্মীকে । অথাৎ দলিয় নেতাকর্মীরা ভুট্টোর কথা না শুনলেই বাড়িতে পুলিশেন হানা । এটা হলো ভুট্টো সাহেবের আসল রুপ । যা হোক ………………..।

আমি অভাগ হয়ে গেলাম । যখন শুনি ৮ ম শ্রেনীর একজন ছাত্রের সাথে ভু্ট্টো সাহেব গ্রুপিং করেন । ভু্ট্টো সাহেবের কারনে ৮ শ্রেণী থেকে একটা ছাত্রের পড়া লেখা শেষ হয়ে গেল । ওই ছেলেটার জীবন নষ্ট হওয়ার জন্য ভুট্টো দায়ী থাকবেন । ছেলেটা এখন সক্রিয় রাজনীতি করেন এবং ভুট্টোর পথেক দারালো কাটাঁ । ছেলেটার নাম শাকিল । কিছু দিন আগে ছেলেটাকে ভুট্টো নিজ হাতে পিটাইছে । এরপর ছেলেটা গিয়ে নিজাম হাজারীর কাছে ভুট্টোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে । একটা বাচ্ছা ছেলের সাথে একজন চেয়ারম্যান গ্রুপিং করে ? একজন বাচ্ছা ছেলেকে একজন চেয়ারম্যান নিজের হাতে পিটাতে পারে ? এক জন বাচ্ছা ছেলের পড়া লেখা বন্ধ করে দিতে পারে একজন চেয়ারম্যান ? বিচার জনগণের হাতে তুলে দিলাম । যা হোক ……………….।

বর্তমানে ভুট্টোর পথের কাটা নজরুল । বিগত ১ বছরে নজরুলের বাড়িতে পুলিশ পাটিয়েছে কমপক্ষে ২৫ বার ! পুলিশ আতঙ্কে বিগত ১ বছর নজরুল তার বৌ -বাচ্চার কাছে এক একদিনও ঘুমাতে পারে নি । মনে হয় যেন- নজরুলেই সোনাগাজীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ! নজরুলের অপরাধ কি ? ভুট্টোর পক্ষ থেকে অভিযোগ হলো – নজরুল মাদক সেবন করেন এবং তার কাছে অস্ত্র আছে । যা হোক ………………….।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (১২মে ) সন্ধ্যার একটু আগে নজরুল আমাকে ফোন করে বলেন , দাদা আমাকে বাচাঁন । আমি প্রশ্ন করলাম কি হয়েছে ? নজরুল বলেন -ভুট্টা ৫০/৬০ জন নিয়ে আমাকে ঘিরে পেলেছে । আমি প্রশ্ন করলাম পুলিশ ছিলো ? নজরুল বলেন – ছিলো তবে, সিভিলে । আবার প্রশ্ন করলাম আর কে ছিলো ? নজরুল বলেন – পরিষদের চকিদারেরা সবাই ছিলো । আবার প্রশ্ন করলাম আর কে ছিলো ? নজরুল বলেন , রাসু – একাকুব – ইমাম-হেদায়েত- আমির হোসন – নয়ন ও মামুন । নজুলের অভিযোগ শুনে আমি নিজে -নিজে উত্তেজিত হয়ে একে -একে সবাইকে ফোন দিয়েছি । তবে, রাসু – একাকুব – ইমাম-হেদায়েত- আমির হোসন – নয়ন ও মামুন এরা কেউই ছিলোনা । বরং এরা বলেছে – নজরুল ত্যাগী, সে দলে একটিভ । কেই – কেউ বলেছে নজরুর আত্মিয় ।এরপর পুরিশের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, নজরুলকে পুলিশ কিছুই করে নি । পুলিশ এলাকায় গিয়েছে করোনা সংগ্রান্ত কারনে । যা হোক ……………।

অন্যদিকে নজরুলের অভিযোগ একেবারে মিথ্যা নন । ভুট্টোর প্লান ছিলো পুলিশ সহযোগীতা করলে দলবল নিয়ে নজরুলকে ধরে মারধর করবে । কিন্তু পুলিশ বলেছে নজরুলকে কিছু করা যাবে না । তাই ভুট্টোর প্লান শেষ হয়ে গেল । এখন কথা হলো এত গুলো চকিদার পুলিশ নিয়ে এলাকায় মোহড়া কেন ? এ মোহড়াকে অনেকে স্বগত জানিয়ে ফেইজবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে । আমি এ মোহড়ার পক্ষে নন । কারন , মোহড়া দিয়ে দিয়ে মানুষ আতঙ্ক করার মানে কি ? আগে মানূষকে সচেতন করতে হবে । মানুষকে সচেতন না করে মোহড়া দিয়ে কি লাভ ? না হয় গ্রুপ ভাগ করে প্রতি বাজারে -বাজারে সচেতন মূলক প্রচারনা করতে হবে । হুন্ডা ও সিএনজি দিয়ে মোহড়া দিয়ে লাভ কি ? সে মোহড়ার ভেতরে অসৎ উদেশ্য আছে বলে আমি মনে করি ।

এদিকে , যারা মোহড়াকে স্বাগত জানিয়ে ফেইজবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাঁরা অনেকেই ইউনিয়নের চকিদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন । এখন কি সে চকিদার গুলো ভালো হয়ে গেল ? আমি অভাগ হয়ে যাই বিদেশে বসেও মোহড়াকে স্বাগত জানায় । হায়রে দালালি ………।

উপরে উল্লেখিত সব বিষয় নিয়ে ভুট্টোকে আমি কয়েকটি প্রশ্ন করে ছিলাম । আমার প্রশ্ন গুলো ছিলোঃ ১ / ২০১৮ সালের জাতিয় নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে হামলার অস্ত্র গুলো উদ্ধার করার জন্য পুলিশকে বলেছেন ? যারা ভোট কেন্দ্রে হামলা করেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে বলেছেন ? ভূট্টো উত্তর দিলেন – না । আবার প্রশ্ন করলাম- তা হলে নজরুকে কে পুলিশ লেলিয়ে দিলেন ? উত্তর ……।

প্রশ্নঃ-২ / বিএনপির ওয়ারেন্টভুক্ত অনেক সন্ত্রাসীরা এলাকায় ঘুরতেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে বলেছেন ? ভুট্টো উত্তর দিলেন – না । আবার প্রশ্ন করলাম – তা হলে নজরুলকে পুলিশ লেলিয়ে দিলেন কেন ? উত্তর ……..।

প্রশ্নঃ-৩ / অস্ত্র ও মাদকের অভিযোগ তুলে অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছেন কিন্তু বিএনপির সন্ত্রাসীদের বাড়িতে পুলিশ পাঠান না কেন ? উত্তর ………।

প্রশ্নঃ-৪/ বিগত ২৫ বছর যে সকল বিএনপি সন্ত্রাসী সংখ্যালঘুদের বাড়িতে , আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে, আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করেছে এবং আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী

দেরকে পিটাইছে তাদের সাথে আপনার সুসম্পর্ক কিন্তু নজরুলের সাথে আপনার সমস্যা কি? উত্তর ……..।

প্রশ্নঃ-৫/ ৫ নং চর দরবেশ ইউনিয়নে মাদক শুধু নজরুলে সেবন করে ? অস্ত্র শুধু নজরুলের কাছে আছে ? অন্যরা সবাই ভালো ? উত্তর……….।

প্রশ্নঃ-৬/ নজরুলতো এক সময় আপনার বন্ধ ছিলো এখন শত্রু কেন ? উত্তর ………।

প্রশ্নঃ-৭ / নজরুল আপনার কথা শুনে না তাই মাদক সেবন ও অস্ত্রবাজ। আর যারা আপনার কথা শুনে তারা সবাই ভালো ? উত্তর ………।

প্রশ্নঃ-৮/ আপনিতো নজরুলের অভিভাবক আপনি তাঁকে মাদকমুক্ত করেন না কেন ? উত্তরঃ …………..।

প্রশ্নঃ- বিগত ২৫ বছরে আওয়ামীলীগের কাছে অনেক অস্ত্র দেখা গেছে সে গুলো কি আপনার কাছে ? উত্তর…………।

আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে না পেরে ভুট্টো সাহেব উত্তেজিত হয়ে উল্টো আমাকে বলেন , তুই (নান্টু ) মাদকাশক্ত, অস্ত্রবাজ , চোর , ডাকাতের গড় ফাদার । তোর ( নান্টুর ) বিরুদ্ধে ৫০০ আইডিতে লেখা হবে ।তুই নাফিজের দালাল …………….. ইত্যাদি ইত্যাদি ।

ভুট্টো সাহেব রাগেক্ষোভে বলেন , নাফিজ ভাইকে আমি অনেক সম্মান করি । সে আমার দলিয় বড় ভাই । সে কখনো নৌকার বাহিরে যাবে না । আমি ভুট্টোও কখনো নৌকার বাহিরে যাবো না । নাফিজ ভাই দলিয় মনোনয়ন পেলে আমি ভুট্টো তাঁর ভোট করবো , আমি ভুট্টোও দলিয় মনোনয়ন পেলে নাফিজ ভাই আমার ভোট করবে । আমি নাফিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে নেই । এক শ্রেনীর লোকে নাফিজ ভাই ভুল ভুঝায় । সে কলেজের প্রফেসার । তাঁর টাকা পয়সায় অভাব নেই । সে কেন এলাকার রাজনীতিতে জড়ায় ? আমি নঈম ভাইকে অনেক সম্মান করি । সে যখনই দেশে আসেন দেখলেই সম্মান করি ।কিন্তু সেও আমার বিরুদ্ধে । নঈম ভাইয়ের মত একজন সম্মানি লোক নজরুল্লা চোরার পক্ষে কথা বলে । নজরুল্লা চোরা সারাদিন মিথ্যা কথা বলে ………. ইত্যাদি ইত্যাদি ।

শেষ কথা হলো, ভুট্টো যাই বলোক না কেন নজরুলকে হয়রানির খেচারত দিতেই হবে । নজরুলকে কমপক্ষে ২৫ বার পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেছে এখনো করার চেষ্টা চালাচ্ছে । নজরুর কি ভুট্টোকে ছেড়ে দিবে ? নজরুল ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক । ভুট্টো থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক । থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে কমপক্ষে ২৫ বার পুলিশের পাটিয়েছে । নজরুল ভুট্টোকে ছেড়ে দিবে ? রাজনীতে শেষ বলতে কথা নেই ।

অন্যদিকে ভুট্টোর কারনে শাকিলের লাইভ শেষ । শাকিল এখন ভবগুরের মাঝি । যে ছেলেটা এখন থাকতো কলেজে সে এখন থাকে রাস্তায় । যে ছেলেটাকে ভুট্টো শ্রেহ করার কথা সে ছেলেটাকে ভুট্টো পিটাইছে । শাকিল কি ভুট্টোকে ছেড়ে দিবে ? এরকম অনেক নেতাকর্মীর সাথে ভুট্টো অন্যায় করেছে । তারা কেউই ভুট্টোকে ছাড় দিবে বলে আমার মনে হয় না ।

ভুট্টো সাহেব অভিভাবক হতে হলে আরো ধর্য্যশীল হতে হবে । গায়ের চামরা আরো গাড়ো হতে হরে । মেনে নেয়ার ক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে ।

আমার লেখা থেকে ভুট্টো সাহেব অনেক কিছু শিখতে পারবে আবার আমার প্রতি রাগও হতে পারে । আমি ওই এলাকার বড় হয়েছি বলেই অনেক কিছু দেখেছি । ১৯৯৫ সাল থেকে কাঞ্চন ভাইয়ের কিরিসটির কথা মনে থাকা মানেই হলো ২৫ বছরের সব ঘটনা সহ অনেক কিছু মনে আছে । ( ক্ষমা করে দিবেন কাঞ্চন ভাই )

ভুট্টো চেয়াম্যান – শাকিল – নজরুলকে নিয়ে এলাকায় উত্তাল । আমি বিব্রত । সমস্যা কোথায় ? সমাধান কোথায় ? উত্তরঃ- ভুট্টোই দিতে পারে সব সমস্যার সমাধান ।

লেখক, নান্টু লাল দাস

স্টাফ রিপোর্টার , ডেইলি ইন্ডাষ্ট্রি

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo