ঢাকা মহানগর হাকিম মাহামুদা আক্তার শুনানি শেষে রুবির ভিডিও ফুটেজ তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২০ নভেম্বর মামলাটির তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতেও মামলাটির তদন্ত সংস্থা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে এদিন এ মামলার নারাজির আরেক আসামি রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। তবে এ বিষয়েও কোনো আদেশ দেয়নি আদালত।
বাদীপক্ষে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ আদালতে ওই সব আবেদন করেন। আসামি রুকির ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তাকে গ্রহণের নির্দেশ দেয়ার আবেদনে আইনজীবী ফারুক বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় থাকা আসামি রুবি গত ৭ আগস্ট ফেসবুকে এক ভিডিওবার্তায় সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন, যা এখন ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ওই ভিডিওবার্তায় রুবি বলেছেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করে নাই। সালমান শাহকে খুন করা হইছে, আমার হাজব্যান্ড এটা করাইছে আমার ভাইরে দিয়ে। সামিরার ফ্যামিলি করাইছে আমার হাজব্যান্ডকে দিয়ে। আর সব ছিল চাইনিজ মানুষ।’
রুবি আরও বলেছেন, তার স্বামীর নাম চ্যাংলিং চ্যাং, যিনি বাংলাদেশে জন চ্যাং নামে পরিচিত ছিলেন। ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়কে সাংহাই রেস্টুরেন্ট নামে তার একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁ ছিল। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তার ভাই রুমিকেও খুন করা হয়েছে। রুবির ওই বক্তব্য প্রমাণ করে যে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি। তাই এ মামলার তদন্তে ওই ভিডিওবার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ওই ভিডিওবার্তা সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া প্রয়োজন।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর আলোচিত মামলা তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ওপর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালত র্যাবকে মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিশন করলে র্যাবকে দেয়া তদন্তের আদেশ বেআইনি ঘোষণা করা হয়।
সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী নারাজিতে মাফিয়া ডন আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অপর ১০ জন হলেন, সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক, সামিরার মা লতিফা হক লুসি, রেজভী আহমেদ ওরফে ফরহাদ, এফ ডিসির সহকারী নিত্য পরিচালক নজরুল শেখ নজরুল শেখ, ডেভিড, আশরাফুল হক ডন, রাবেয়া সুলতানা রুবি, মোস্তাক ওয়াইদ, আবুল হোসেন খান ও গৃহপরিচারিকা মনোয়ারা বেগম।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহের ১১/বি নিউস্কাটন রোর্ডের স্কাটন প্লাজার বাসান নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে প্রথমে হলি ফ্যামেলি পরে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিংসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।