ঢাকা অফিস-প্রতিবারের মতো এবারও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে আগামীকাল সোমবার থেকে পাঁচ দিনব্যাপী (৮ থেকে ১২ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ ২০১৮ শুরু হচ্ছে। এবারের পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘জঙ্গি মাদকের প্রতিকার, বাংলাদেশ পুলিশের অঙ্গীকার’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহের প্রথম দিন সোমবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে বর্ণাঢ্য পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহী দলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে গত ২০১৭ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৭১ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫৩ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ দেয়া হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় শহীদ লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, পরিদর্শক মরহুম চৌধুরী মো. আবু কয়ছর এবং পরিদর্শক মরহুম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে বিপিএম-মরণোত্তর পদক দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে পদক দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম উদ্বোধন, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ সুপার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নিচ্ছেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতার চ্যানেলগুলো পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।
পুলিশ সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীবর্গের সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, পুরস্কার বিতরণ (আইজিজ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র, মাদক উদ্ধার প্রভৃতি), অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি। আগামী ১২ জানুয়ারি শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধসংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজনের।
পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়