ফেনী
মঙ্গলবার, ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২৭
, ১১ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনাম:
সংস্কার ধোঁয়া তুলে ষড়যন্ত্র করা হলে দেশের সমস্যা বাড়তে থাকবে সোনাগাজীতে ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতার পরিবারকে বাড়ি উপহার দিলেন তারেক রহমান চাঁদাবাজি করলে শহীদদের রক্তের অসম্মান হবে সংসদের উচ্চকক্ষে সখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব হলে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত হবে না ইসলামি আন্দোলন ফেনীর কমিটি গঠন,সভাপতি এনাম- সেক্রেটারি একরাম ১৪ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে বরাত সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ফেনীর কমিটি ঘোষণা রাজাপুরে হিলফুল নূর ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র উপহার ফেনীতে বর্নাঢ্য আয়োজনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  ফেনী বড় মসজিদের এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠলো আ.লীগ আবার ফিরবে,জয়বাংলা

১৯৬১সালেও প্রশ্ন ফাঁস হতো-শিক্ষামন্ত্রী

 

 

ঢাকা অফিস-বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বছরজুড়ে সমালোচনার মুখে থাকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘সেই ১৯৬১ সালে যখন ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছি, তখনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হতো। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে ফাঁসের খবর দ্রুত প্রচার হয়ে যায়। এ জন্য মনে হয় অনেক বেশি।’

শনিবার সচিবালয়ে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি তা প্রতিরোধে গৃহীত সরকারি পদক্ষেপ সম্পর্কে জানান নাহিদ।

‘প্রশ্নপত্র ফাঁস কোথা থেকে হচ্ছে’- একজন সাংবাদিকের এই প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই ইতিহাস আজকে আর তোলার দরকার নাই। এটা আরেক ইস্যু। এটা নিয়ে বহু লেখা হয়েছে, আরও হবে, আরও বলবেন, আমরাও বলব। এটা আমি বহুবার বলছি, এককথা বারবার বলা হচ্ছে। এটা মনে হচ্ছে যেন আধুনিক একটা পদ্ধতি চালু হয়েছে; মনে হচ্ছে আগে কখনও প্রশ্ন ফাঁস হয় নাই।’

আগেও একদিন বলেছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, তিনি একষট্টি (১৯৬১) সালে ম্যাট্রিক (বর্তমানে এসএসসি) পরীক্ষা দিয়েছেন। তখন থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস দেখে আসছেন। তবে তখন তা ছিল সীমাবদ্ধ। সে সময়ও ফাঁস হতো, বিক্রি হতো। এই ধারা কমবেশি বহুদূর পর্যন্ত গেছে। তিনি মনে করেন, এখন প্রশ্ন ফাঁসের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ায় খবর দ্রুতই প্রচার হচ্ছে।

প্রশ্ন ফাঁস রোধে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিজি প্রেস থেকে প্রশ্ন ফাঁস আগে সহজ ছিল। সেখানে এখন ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখান থেকে এখন ফাঁসের সুযোগ নেই। তাই কোনো প্রশ্নপত্রই পরীক্ষার দুই মাস আগে ফাঁস হয় না, ওই দিন (পরীক্ষার দিন) সকালে আউট হয়।

মোটামুটি এক জায়গায় তারা চলে এসেছেন জানিয়ে মন্ত্রী নাহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র জেলায় আর থানায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিরাপদ করা হয়েছে। এর পরও সমস্যা আছে। এমন অনেকে শিক্ষকতায় ঢুকে পড়েছেন, যারা সুযোগের অপব্যবহার করেন।

জেএসসি পরীক্ষা নিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবার সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা হয়েছে। পাসের সংখ্যা, হার ও জিপিএ ৫ পাওয়ার সংখ্যা কমেছে। তারা কোনো কিছুই গোপন করেননি বা কোনো কিছু চাপা দেওয়ার বা পরিবর্তনের চেষ্টাও করেননি। তাদের লক্ষ্য, সব ছেলেমেয়েই যেন পাস করতে পারে এবং পাস করার যোগ্যতা নিয়েই সে লেখাপড়া শিখবে।

‘ফলের সব সূচকে এবার কেন অবনমন?’ এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখন কোনো মূল্যায়নে যাচ্ছি না। বোর্ডগুলো নিজস্বভাবে মূল্যায়ন করবে, মন্ত্রণালয় তদারক করবে বা আলাদা তদন্ত করবে। তখন সঠিক চিত্র জানা যাবে।’ সার্বিকভাবে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘তবে যা হওয়া উচিত, তার চেয়ে পিছিয়ে আছি।’
বাংলাদেশ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ইউনিটের সুপারিশ অনুসরণ করে তিন বছর থেকে ‘আস্তে আস্তে’ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করার কথা জানিয়ে নাহিদ বলেন, ফলে এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

কুমিল্লা বোর্ডে ‘গতবারের মতো এবারও খারাপ ফল হওয়ার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, ‘কুমিল্লা বোর্ড নিয়ে আরেকটু গভীরে যেতে হবে, এরপর জানাব।’

নাহিদ বলেন, ‘যেসব বিদ্যালয় থেকে কেউ পাস করতে পারেনি, সেসব প্রতিষ্ঠান আদৌ রাখার দরকার নেই। এগুলো অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্জ করতে চাই। যেটুকু ক্ষমতা আছে, সে অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

প্রশ্নপত্র আর না ছাপানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে জানিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, এ রকম ব্যবস্থার চিন্তা করা হচ্ছে, প্রত্যেকের সামনে একটা মনিটর থাকবে, সেখানে প্রশ্নব্যাংক থেকে প্রশ্ন দেওয়া হবে, কেউ ইচ্ছা করে কোনো প্রশ্ন দিতে পারবে না। যিনি প্রশ্ন করবেন, তিনিও জানবেন না, প্রশ্ন কী আসছে। সে পর্যায়ে যেতে হয়তো অনেক সময় লাগবে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পাঁচটি কমিটি করার কথা জানিয়ে সচিব বলেন, ওই সব কমিটি কাজ করছে।

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo