ঢাকায় যখন একের পর এক আগুনে বিপর্যস্ত, তখন ফেনীর অনেক সচেতন মানুষও সরব সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু আমাদের ফেনী কি আগুন থেকে নিরাপদ?
১. ফেনীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় একটার গায়ে আরেকটা বিল্ডিং গড়ে উঠেছে, অথচ ইমারত আইন অনুযায়ী ৩৫-৫০% জায়গা খালী থাকার কথা। ফেনী পৌরসভার অনুমোদন পেল কি করে এইসব ভবন? একটা বিল্ডিংয়ে আগুন লাগলে, আশেপাশে ছড়িয়ে পড়বে খুব দ্রুত।
২. ৩-৪ফুট রাস্তার জায়গা রেখেই দুইপাশে ভবনের সারি৷ আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের অবস্থাও নাই অনেক এলাকায়।
৩. পুকুর এবং জলাভূমির অভাব। ১০বছর আগেও ফেনী শহরে অসংখ্য পুকুর ছিল, কিন্তু কালের বিবর্তনে সব হারিয়ে গেছে উচু দালানের ভীড়ে। জলাশয় সংরক্ষণ নীতিমালা অনুসরন না করেই, একের পর এক পুকুর ভরাট করে গড়ে উঠেছে বাড়িঘর ও মার্কেট৷ পুকুর সংরক্ষনের জন্য নেই কোন তদারকী। আগুন লাগলে পানির উৎসের সন্ধান খুজতে গিয়েই সব পুড়ে ছাঁই হবে।
৪. ফেনী শহরে দ্রুতগতিতে হাইরাইজ বিল্ডিং গড়ে উঠেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা এবং ইমার্জেন্সী এক্সিটের ব্যবস্থা নাই অনেক ভবনে। ভবনের মালিক, দোকানদান এবং বাসিন্দাদের ফায়ার সেফটি ও ভূমিকম্পে করনীয় সম্পর্কে নেই কোন প্রশিক্ষন। আগুন সারবছর লাগে না, একবার লাগলেই সব শেষ করে দিবে৷ কিন্তু প্রশিক্ষন একবারই নেয়া লাগে। যাবতীয় প্রস্তুতি সারাবছরের জন্য নিয়ে রাখতে হয়।
৫. বাসাবাড়ির সামনে বৈদ্যুতিক পোলে তারের জটলা, যেকোন বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে আশেপাশের ভবনে।
৬. ফেনীতে ১০তলার উপরে অনেক ভবন গড়ে উঠেছে। কিন্তু ফেনী ফায়ার সার্ভিসের কি যন্ত্রপাতী ও জনবল রয়েছে সুউচ্চ এইসকল ভবনের আগুন নেভানোর?
দ্রুত ইমারত আইন ও বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ না করলে ঘটবে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।