ফেনী
মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৩২
, ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ফেনীতে ভেজাল মরিচের গুড়া ধ্বংস ও দুই প্রতিষ্ঠান সীলগালা

ফেনীতে মানবদেহের ক্ষতিকর রং, নিম্নজাতের মরিচ ও ধানের কুড়া মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভেজাল মসলা।শনিবার দুপুরে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের একটি টিম শহরের তাকিয়া রোডে একটি ভেজাল মশলা তৈরির কারখানায় হানা দেয়। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে উদ্ধারকৃত ৬৫মণ ভেজাল মরিচের গুড়া জব্দ করার পর ধ্বংস করার আদেশ দেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফেনীর তাকিয়া রোডে ১০-১২টি মসলা তৈরির কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মসলা তৈরির নামে অসাধু ব্যবসায়ীরা হলুদ ও মরিচের গুড়ায় মানবদেহের ক্ষতিকর রং, নিম্নজাতের হলুদ, মরিচ ও ধানের কুড়া মিশিয়ে বাজারজাত করা আসছে। এসব ভেজাল পণ্য নামী-দামী কোম্পানীর মোড়কে ফেনীর বড় বাজার, উপজেলা ছোট-বড় হাট-বাজার ছাড়াও নোয়াখালী, রামগতি, চৌদ্দগ্রাম, করেরহাট, বারইয়ারহাটসহ বিভিন্নস্থানের পাইকারদের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছে। আরো জানা যায়, জহিরের শহরের আবু বক্কর সড়কে আরো একটি ভেজাল মসলা তৈরির কারখানা রয়েছে।

সূত্র জানায়, মো. জহিরের মালিকীয় কারখানায় ভেজাল মরিচের গুড়া তৈরির সময় ২৪ বস্তা ও পাশবর্তী সততা ট্রেডার্সে রাখা ২৭ বস্তা জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে মো. জহির ও সততা ট্রেডার্সের মালিক বাসু চন্দ্র নাথ রনি পালিয়ে ছিটকে পড়ে। পরে তাদের খোঁজাখুঁজি করে আর পাওয়া যায়নি। অভিযান শেষে দুইটি প্রতিষ্ঠানে সীলগালা করে দেয়া হয় এবং ফেনী পৌরসভার সহযোগিতায় উদ্ধারকৃত ভেজাল মসলাজাত পণ্য ধ্বংস করে দেয়া হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক সোহেল চাকমা, ফেনী পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিকসহ পুলিশ সদস্যরা।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল রোধে বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম কাজ করছে। তিনি ভেজাল পণ্য উৎপাদনের দায়ে দুটি প্রতিষ্ঠাণ সীলগালা ও উদ্ধারকৃত মালামাল ধ্বংস করে দেয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!