বিশ্বের ৩৬টি দেশের জাতীয় আয়ের চেয়েও বেশি মূল্যের ইয়াবা আমদানী হয় বাংলাদেশে। মিয়ানমার থেকে বছরে ২৪হাজার কোটি টাকার ইয়াবা আমদানী হয় বাংলাদেশে। অথচ বাংলাদেশ-মিয়ানমার বৈধ পণ্য আমদানী রপ্তানী হয় বছরে মাত্র ৬০০কোটি টাকা। দেশের ৭০লক্ষ মানুষ মাদক সেবন করে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করতে ভারতে গড়ে উঠেছিল হাজার খানেক ফেন্সিডিল তৈরীর কারখানা, যারা ঔষধ তৈরীর লাইসেন্স নিয়ে বছরে প্রায় ৪কোটি বোতল ফেন্সিডিল রপ্তানী করতো বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মাদকসেবীদের ৮০% এখন ইয়াবাসেবী, আগে যাদের বেশিরভাগ অংশ ছিল ফেন্সিডিলসেবী। এদের ৯০% তরুন তরুনী। সারাদেশে রয়েছে মাদকসেবী ৩লক্ষ শিশু ও ৫লক্ষ নারী। ছেলে বন্ধুদের প্রলোভনে মেয়েরাও জড়িয়ে পড়ে মাদকের সাথে। সরাসরি মাদক চোরাচালান ও ব্যবসার সাথে জড়িত ২লক্ষ মানুষ। ২০১৭সালে ৪কোটি ১১লাখ পিচ ইয়াবা, ৭লাখ ৫০হাজার বোতল ফেন্সিডিল এবং ১লক্ষ ৮০হাজার লিটার মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্গলা বাহিনী। বছরে অন্তত ৪০হাজার কোটি টাকার মাদকের বেচাকেনা চলে দেশে।
২লক্ষ মাদক ব্যবসায়ী, ৭০লক্ষ মাদকসেবী, ৪০হাজার কোটি টাকার মাদক ব্যবসার কারনে ধ্বংসের পথে বাংলাদেশের তরুন সমাজ। মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে সাংসাদ থেকে শুরু করে গৃহবধুরাও। হতাশা, ব্যর্থতা, পারিবারিক কলহ, অসৎ সঙ্গ কিংবা যুুবক বয়সের ফ্যান্টাসী থেকেই সবাই মাদকাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। উচ্চবিত্ত পরিবার এবং হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা সহজে জড়িয়ে পড়ে মাদকের জালে। সিগারেট দিয়েই শুরু হয় মাদকের জগতে যাত্রা। শেষ হয় একটি পরিবারের স্বপ্ন ধ্বংসের মধ্যদিয়ে।
পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটওয়ারী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। মাদকবিরোধী এই অলআউট সাড়াশি অভিযান চালানোর জন্য ধন্যবাদ বাংলাদেশ সরকারকে। মাদকের বিরুদ্ধে ঘোষিত যুদ্ধের জয় হোক। তবে রাঘববোয়ালদের বাদ দিয়ে চুনোপুটিদের দমন যেন না করা হয়।
প্রকৌশলী নাজিম সরকার
সহযোগী সম্পাদক
অনলাইন ফেনীর কথা