ফেনী
শনিবার, ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:১২
, ৭ই সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সমাজটাকে বাঁচান

বুরহান উদ্দিন ফয়সল: সারা দিন অফিস করে বাসায় ফিরছেন। পাবলিক বাসে বাদুরঝোলা হয়ে যাওয়ার চেয়ে বরং ফুটপাত ধরে হাঁটাই পছন্দের। তাছাড়া বাসাও খুব বেশি দূরে নয়।

প্রতিদিনের মত কাঁধে ল্যাপটপ ব্যাগ আর হাতে টিফিনের খালি বক্স নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন আক্কাস সাহেব। কিছু দূর যাওয়ার পর দেখলেন রাস্তায় উঠতি বয়সী স্থানীয় ছেলেদের আড্ডা।

গোটা ফুটপাতজুড়ে আয়েশি ঢংয়ে গল্পে মেতেছে তারা। মূল রাস্তায়ও যানবাহনের লম্বা লাইন। চাইলেও আড্ডারত ছেলেদের এড়াতে পারলেন না তিনি। অনুরোধ করলেন একটু জায়গা করে দিতে।যেই না অনুরোধ করলেন সঙ্গে সাথেই প্রচণ্ড ক্ষেপে গেল তারা।

‘বুইড়া! চোখে দেখো না?’ বলেই আক্কাস সাহেবের মুখের ওপর সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে দিল বখাটের দল। মৃদু প্রতিবাদ করতেই ধাক্কা দিয়ে আক্কাস সাহেবকে রাস্তায় ফেলে দিল।পরিণত বয়সে পৌঁছে যাওয়া আক্কাস সাহেবের বাম হাতে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানালেন, হাত ভেঙে গেছে, ছয় মাস থাকতে হবে বেডে।মধ্যবিত্ত পরিবারটি এখন চিকিৎসা খরচ আর নিয়মিত সংসার ব্যয়বহন করা নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায়।

এমন ঘটনা কি এদেশের শহরে-বন্দরে, পথে-প্রান্তরে এক দুটি? প্রতিদিন কত আক্কাস সাহেবকে রাস্তাঘাতে নিগৃহীত হতে হচ্ছে তার হিসাব কি কেউ রাখেন?

তাহলে প্রশ্ন আসে কেন এমন হচ্ছে? উত্তর হয়তো এককথায় সবাই বলবেন, বখাটেদের কারণে এমন হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কি এত সহজ?

বখাটে ছেলেটি আজকের এ পর্যায়ে কেন এলো। অন্য ১০টি ছেলের মতো নিয়মিত ছাত্র না হয়ে কেন সে ভবঘুরে হলো? পরিবার বা সমাজের কি এতে কোনো দায় নেই?

শৈশবে যদি পরিবার পর্যাপ্ত সময় দিত, এদের বোঝানো হতো যে, বড়দের সম্মান করতে হয়।

এছাড়া একেবারেই শৈশবে যদি ধর্মীয় চেতনাটা জাগিয়ে দেয়া যায় তাহলে সবচেয়ে বেশি ফল পাওয়া যাবে সন্দেহ নেই। আল্লাহর রাসূল (সা.) হাদিসে বলেছেন, ‘যারা ছোটদের স্নেহ করে না এবং বড়দের সম্মান করে না তারা আমার উম্মাত নয়’।‘জনসাধারণের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা দুর করা ঈমানের অংশ’।

এমন আরও সমাজঘনিষ্ট আয়াত-হাদিস যদি অর্থসহ শিশুদের শেখানো হয় তাহলে তাদের মনে দাগ কেটে যাবে। কৈশোর বা যৌবনে সে হয়তো আর অনিষ্ট চিন্তা না করারই কথা।

এত গেলে একটি চিত্র। সমাজ জীবনে এমন নানা সমস্যার মুখে পড়ছি আমরা প্রতিনিয়ত। এর একটি হলো ইভটিজিং। আপনার আমার বোন, স্ত্রী, মেয়ে বা আত্মীয় স্কুল-কলেজ বা ভার্সিটিতে ক্লাস শেষে বাসায় ফিরছে বা প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে বের হয়েছে, বখাটের দল তাদের দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছে, শিস দিচ্ছে বা আপত্তিকর মন্তব্য করছে এমন ঘটনা তো অহরহ।

চিন্তা করে দেখুন তো, যে বখাটে ছেলেটি এসব করছে তাকে যদি বোঝানো যায় যে, এটা অন্যায় তাহলে তার মধ্যে ভাবান্তর ঘটতে পারে। তাছাড়া কোনো মানুষই তো নিজের বোন, মেয়ে বা স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ মেনে নেবেন না। এ ক্ষেত্রে নিগৃহিতা নারীটিকে যদি নিজের স্ত্রী, বোন বা মেয়ের অবস্থানে কল্পনা করানো যায় তাহলে বখাটে একটু হলেও চিন্তা করবে।

আর সবচেয়ে কার্যকরি কৌশল হচ্ছে শিশুকালেই নারীদের প্রতি সম্মান করা শেখানো। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘ঈমানদার পুরুষদের বলে দিন যে, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনমিত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে।’ এছাড়া রাসূল (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার জিহ্বা এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে সে জান্নাতে যাবে।’

কুরআন হাদিসের এসব বাণীর ব্যাপক প্রচারের মধ্য দিয়ে মানুষের মানসিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।

আমাদের সমাজের আরেকটি বড় সমস্যা হলো মাদক। বলতে গেলে যুবসমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচানো এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। এজন্য আইনের প্রয়োগ যেমন দরকার তেমনিভাবে মাদকের উৎস বন্ধ করা জরুরি।

আর মাদক গ্রহণ থেকে তরুণ সমাজকে বাঁচাতে হলে পরিবারের সাপোর্ট দরকার সবার আগে। উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের বাবা-মা যদি সব সময় দেখে রাখেন তাহলে তাদের বিপথে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

আজকের সমাজের মানুষ তো ভীষণ রকম ব্যস্ত। টাকার পেছনে ছুটছেন কেউ, কেউ বা সামাজিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত, অনেকে রাজনৈতিক নেতা। পরিবারকে দেয়ার মতো সময় তাদের নেই। এছাড়া বাবা মায়ের কাছেও মাদকের ‘সবক’ পায় অনেকে। একসাথে বসে মদ খাওয়া পরিবারের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

আবার একসঙ্গে না খেলেও একজন একেক ক্লাবে গিয়ে ‘আধুনিক’ হওয়ার ব্যাপারটা তো বেশ পুরনো। তো এমন পরিবারের সন্তান তো বিপথে যাবেই, তাই না?

মাদকের ব্যবহার ইদানীং ছড়িয়ে পড়েছে পাড়ামহল্লায়। অফিস শেষে সন্ধ্যায় বাসা ফেরার সময় হয়তো দেখলেন আপনার বাসার গেটের সামনেই একদল কিশোর বা তরুণ সিগারেটে গাঁজা ঢুকিয়ে নেশার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনি দেখে হয়তো দ্রুত বাসায় ঢুকে গেলেন। মানসম্মানের ভয়ে ওদের ঘাটাতে গেলেন না।

কিন্তু কয়দিন? পরদিন আবারো একই চিত্র দেখলে মেজাজ বিগড়ে গিয়ে ওদের দুই কথা শুনিয়ে দিলেন। এরপর? দুয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো আপনাকে নর্দমার মধ্যে আহত অবস্থায় পাওয়া যাবে। কারণ এলাকার কোনো বড় ভাই বা জনপ্রতিনিধি হয়তো তাদের প্রশ্রয়দাতা। আপনার এ ঘটনায় এলাকার বাকিরা সাবধান হয়ে যাবে। কেউ হয়তো এরপর আর প্রতিবাদ করবেন না।

আচ্ছা ধরুন আপনি ব্যাংকে বা হাসপাতালে বা গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে গিয়েছেন। লাইনে দাঁড়িয়ে তিনজন, আপনি তৃতীয় ব্যক্তি। এমন তো অনেক সময় হয় যে, আপনি একটু সুযোগ নিয়ে একজনের আগে বিলটা দিয়ে চলে গেলেন। এত আপনি খুব খুশি হলেও বাকি দুইজন যে কষ্ট পেয়েছেন সেটি চিন্তাই করলেন না। অথচ আপনার পেছনের একজন আগে গিয়ে সেবা নিলে মেজাজ ধরে রাখতে পারতেন আপনি?

একই অবস্থা বাসে-ট্রেনে ওঠানামা, রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, কোন সার্ভিসিং সেন্টারে সেবা নিতে যাওয়া সব ক্ষেত্রেই আমরা শুধু আগে সুযোগ পেতে চাই। এক্ষেত্রে যদি রাসূল (সা.) এর হাদিস মানার চেষ্টা করি তাহলে সমস্যা সমাধান হয়ে যায় সহজেই। তিনি বলেছেন, ‘মুমিন নিজের জন্য যা ভালো মনে করে অপরের জন্যও তাই ভালো মনে করে।’

হাদিসে বলা হয়েছে, ‘মিথ্যা সকল পাপের জননী’ কিন্তু আমাদের সমাজে আজ মিথ্যা বলা কোনো অন্যায় নয়। সমাজের কোথায় নেই মিথ্যা? অথচ শুধু মিথ্যা বলা বন্ধ করতে পারলে সমাজ আপনা আপনিই সোজা হয়ে যাবে।

আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তা। প্রতিষ্ঠানের কোন পদে জনবল নিয়োগ দেবেন। বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছেন, আবেদনও পড়েছে অনেক। এর মধ্যে আপনার মেঝ বোনের দেবরের ছেলের মামা শশুরও আছে। আবার আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন সেখান থেকে পাশ করা একজন আছে। আর বাকি ১৫ জন সাধারণ বেকার যুবক।

লিখিত পরীক্ষায় আপনার আত্নীয়রা ভালো করলো না তারপরও তাদের ভাইবাতে ডাকা হলো। নিয়োগও দেয়া হলো। অথচ ভাইবা মাঝখানে ৩০ মিনিট বন্ধ ছিল জোহর নামাজের জন্য। আপনিই জামাতে ইমামতি করলেন। একজন ভালো নামাজি হিসেবে আপনার সুনাম আছে কিন্তু নিয়োগ দিতে গিয়ে আপনি ইনসাফ করতে পারলেন না।

এইযে যোগ্য বেকারদের চাকরি না দিয়ে আপনার আত্নীয়দের দিলেন তাহলে কী লাভ হলো আপনার নামাজে ইমামতি করে। আল্লাহর কাছে জবাব দিতে পারবেন? অথচ সাত শ্রেনীর মানুষকে হাশরের মাঠে আরশের ছায়া দেয়া হবে তার প্রথম হলো ন্যয়পরায়ন নেতা। আপনি তো ন্যর্য আচরণ করতে পারলেন না তো কেমনে আশা করেন মুক্তি পাবেন?

ধরুন, আপনি একজন ভালো মানুষ, নিয়ম করে ভার্চুয়াল জগতে সময় দেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব থাকার চেষ্টা করেন। এমন করেই কিছু তরুনীর সঙ্গে আলাপ, পরিচয়, পরিণয়.. এক দুই করতে করতে এ সংখ্যা বেশ কয়েকজনে দাঁড়ালো। এখন আর এসব ছাড়া আপনি স্থির থাকতে পারেন না।

একই অবস্থা পাশের বাসার বড় সাহেবের ছেলেমেয়েদেরও। উচ্চ মাধ্যমিকের গন্ডি পার না হতেই বড়লোক বাবা সন্তানদের আইফোন কিনে দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডিতে ঢুকার আগেই হাফ ডজন বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড পাল্টানো হয়ে গেছে তাদের।

দুয়েকবার গর্ভপাতের মতো ‘ছোটখাটো’ অপারেশনও করতে হয়েছে সাহেবের এক মেয়ের। এখন গোটা পরিবার জুড়ে অশান্তি আর সারাদিন ঝগড়াবিবাদ।

মেয়েগুলোকে বিয়ে দিতে পারলেই সাহেব এখন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। এমন লাগামছাড়া জীবন যাপন না করে সাহেব যদি সন্তানদের ছোটকাল থেকে আল্লাহকে চেনানোর ব্যবস্থা করতেন আর দেশীয় মূল্যবোধ শেখানোর চেষ্টা করতেন তাহলে হয়তো এ অবস্থার মুখোমুখি হতে হতো না।

এতসব কিছুর মূলে যদি একটি সমস্যা চিহ্নিত করতে চান সেটি হলো আর্থিক দুর্ণীতি। অপরাধী মনে করে কিছু টাকা খরচ করলে সব বিপদের আসান হবে, আর আইন প্রয়োগকারিরা মনে করে উপরি কিছু আয় হলে মন্দ কি? ছেলেমেয়েদের জন্য কিছু তো করে যেতে হবে।

আবার চাকরি শেষে জনবেবার মতো মহৎ কাজের ইচ্ছা থাকে অনেকের। সেজন্য তো টাকা চাই। বেতনের টাকা থেকে তো আর জনসেবার পুঁজি জোগাড় করা সম্ভব নয়। অথচ রাসুল (সা:) বলেছেন, ‘ঘুষদাতা এবং গ্রহীতা উভয়ই জাহান্নামে যাবে।’

দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আজকাল ধর্মীয় ফ্লেভারেও অনিয়ম দুর্ণীতি হচ্ছে অহরহ। প্রতি নামাজের পরই ইমাম সাহেব ঘোষণা দিয়ে থাকেন ‘মেহেরবানী করে দানবাক্সগুলো চালু করে দেন’ আর প্রতি জুমআর দিনে ঘোষণা তো খুব কমন। ‘অমুক মসজিদের উন্নয়নে অত টাকা দিয়েছেন, আল্লাহ তার দান কবুল করো, কামাই রুজিতে বরকত দাও।’

হুজুর একবারও জিজ্ঞেস করেন না তার আয় হালাল না হারাম। এবার এ ‘দানশীল’ ব্যক্তিকে সমাজে খুব সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা হয়। আমার এলাকায় এক বড় মাদরাসায় বার্ষিক মাহফিলে ঘোষণা দেয়া হলো ‘আপনারা কেউ মাদরাসায় অবৈধ আয়ের টাকা মাদরাসায় দেবেন না। যদি দেন আমাদের জানাবেন, সেটার জন্য ‘ব্যবস্থা’ আছে।

চিন্তা করে দেখুন তো, কে তাকে এ অধিকার দিয়েছে? কি জবাব দেবেন আল্লাহর কাছে এ সমস্ত মাওলানা? কেমন করে অবৈধ আয়কে হিল্লা করে জায়েজ করে দিচ্ছে এরা? অথচ আল্লাহর রাসুল (সা:) বলেছেন, পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেয়া ছাড়া কেউ হাশরের ময়দান ছাড়তে পারবে না।

১. জীবন কার আদর্শে পরিচালনা করেছে ২. যৌবনকাল কিভাবে কাটিয়েছে ৩. সম্পদ কিভাবে আয় করেছে ৪. কোন পথে সম্পদ ব্যয় করেছে ৫. এবং শরিয়তের ব্যাপারে যা জেনেছে তা মেনেছে কিনা? আল্লাহ আমাদের মানার তেফিক দিন।

এমন অসংখ্য সামাজিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। বলতে গেলে সমস্যার শেষ নেই। বাসা বাড়িতে, রাস্তা ঘাটে, অফিসে আদালেতে শুধুই সমস্যা। অপরকে সন্মান না করার সমস্যা, দ্রুত ওপরে ওঠার প্রতিযোগিতা, বিকৃত মানসিকতার সমস্যা। লিখতে গেলে শুধু দিস্তার পর দিস্তা কাগজই নষ্ট হবে।

যদি প্রশ্ন করা হয় এসব থেকে মুক্তির উপায় কি? জবাব হলো, মানুষ তার দায়িত্ব পালন করুক, সমাজ তার কাজ করতে চেষ্টা করুক। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলুক। আর সবচেয়ে বড় উপায় হলো মানুষ তার স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ মেনে চলুক। তাতেই সমাজে শান্তি নেমে আসবে সন্দেহ নেই।

আরো একটি টনিক প্রয়োগ করে সামাজিক স্থিতি ফেরানোর চেষ্টা করা যেতে পারে তা হলো পারিবারিক বন্ধন। পারিবারিক বন্ধন যখন থেকে ঢিলা হতে শুরু করেছে তখন থেকেই সামাজিক সমস্যার বিষ্ফোরন ঘটেছে। ইউরোপে পারিবারিক প্রথা ভেঙ্গে যাবার ফলে সামাজিক স্থিতি এখন তাদের কাছে কল্পনার বিষয়।

বাংলাদেশে আমরা দ্রুত সেদিকেই হাটছি। চিন্তা করে দেখুন তো এখন থেকে ৩০ বছর আগে যখন যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ছিল তখন সামাজিক অবস্থা কেমন ছিল? বড়দের প্রতি সন্মান, একে অপরের প্রতি মমতাবোধ, অপরাধ রোধে সামজিক প্রচেষ্টা, ধর্মীয় আচার ব্যবস্থা সবই ছিল এদেশের সমাজের সৌন্দর্য। কিন্তু যখন থেকে এখানে শৈথিল্য চলে এলো, পরিবার ভেঙ্গে নগরমুখী শ্রোত তৈরি হলো, বৃদ্ধাশ্রম বাড়তে থাকলো তখনই সমাজের অধপতন শুরু।

তাই যদি, সুস্থ সমাজ চাই তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। জোড়াতালি দিয়ে সাময়িক প্রলেপ দেয়া সম্ভব কিন্তু কাঙ্খিত ফল কখনো মিলবে না। আপনি কাঁঠাল গাছে নারিকেল পাবেন না। নারিকলে খেতে চাইলে নারিকেল গাছই লাগাতে হবে।

লেখক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সাংবাদিক।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!