ফেনী
বুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৫:২৫
, ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ফেনীতে ভেজাল রোধে জেলা প্রশাসনের অভিযান

 

 

শহর প্রতিনিধি: ফেনী শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক বা অন্য কোন ভেজাল সন্দেহে ১১ ধরনের খাদ্যপণ্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সোহেল রানা বুধবার ফেনী শহরে অভিযানে নামে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরসহ মোট ৬ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টরকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্যে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক ও ভেজাল পরীক্ষার উদ্দেশ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসরণ করে খাদ্য নমুনা জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের খাদ্য নিরাপদতা পরীক্ষাগারে পাঠানোর নির্দেশনা দেন। খাদ্যপণ্যগুলো হল: শুটকি, সয়াবিন, সরিষা, গুড়, লবণ, সুপারি, ঘি, কলা, হলুদের গুড়া, পানি ও মরিচের গুড়া। অভিযানকালে তাকিয়া রোডের সকাল-সন্ধ্যা শুটকি আড়ত, আবদুল মতিন সওদাগরের শুটকি আড়ত, মায়ের আশীর্বাদ শুটকি আড়ত, হরন্দর শুটকি আড়ত থেকে ৪শ গ্রাম শুটকির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুটকিতে ডিডিটিসহ অন্যান্য কীটনাশক আছে কি না তা পরীক্ষা করা হবে। তাকিয়া রোডের আলভী ট্রেডার্স থেকে সয়াবিন তৈল, জসিম উদ্দিন থেকে সরিষার তেল, চৌধুরী ট্রেডার্স থেকে সয়াবিন প্রভৃতি থেকে ৫শ মি.লি. করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সয়াবিন তৈল সয়াবিন না পাম ও সরিষা তেল বিশুদ্ধ কি না সেটি পরীক্ষা করা হবে। তাকিয়া রোডের জনার্দন সাহার দোকান থেকে গুড়ের নমুনা নেওয়া হয় সোডা মেশানো হয়েছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য। তাকিয়া রোডের নাগ স্টোর থেকে আয়োডিন আছে কি না পরীক্ষার জন্য লবণ সংগ্রহ করা হয়। ভিতরের বাজারের আনোয়ার ট্রেডার্স থেকে ঘি নেওয়া হয় বিশুদ্ধতা পরীক্ষার জন্য। এছাড়াও নুর উদ্দিনের দোকান থেকে হলুদ ও মরিচের গুড়া সংগ্রহ করা হয় ভেজাল মেশানো হয়েছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য। শহরের পাঠানবাড়ি এলাকা থেকে বাংলা ড্রিংকিং ওয়াটার, ওয়াটার ফ্রেশ ড্রিংকিং ওয়াটার ও ভাইটাল ফ্রেশ থেকে পানির নমুনা ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। মিজান রোডের জনতা কমিশন এজেন্ট, মেসার্স সাদেক মিয়া সওদাগর প্রভৃতি থেকে সুপারি ক্ষতিকর কেমিক্যাল রং মেশানো হয় কি না এজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। স্টেশন রোডের সাতটি কলার আড়ত থেকে কার্বাইড পরীক্ষার জন্য কলার নমুনা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর অপরাধ উদঘাটিত হলে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অভিযানকালে জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর সুজন বড়ুয়া, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, আবদুল গাফফার, মো: নাসির উদ্দিন, মঞ্জুর আলম ভুঁইয়া, কাজী মাসুদ, বাবুল চন্দ্র দাস ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo