ফেনী
শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং, সকাল ৬:৪৯
, ১৬ই রবিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী

প্রেমপুরের প্রেমিক প্রেমিকা

আরিয়ান প্রতিদিনের মতো সেকেন্ড টেবিলে এসে বসলো। আরিয়ানের মনোযোগ ক্লাসের টিচারের দিকে। তার সম্পর্কে আর একটা কথা বলা হয়নি। আরিয়ান অনার্স সেকেন্ড ইয়ার এর স্টুডেন্ট। পড়া লেখায় ও খুব ভালো। টিচারের কথা অনুযাই আরিয়ান খাতায় নোট করতে লাগলো। এমন সময় আরিয়ানের চোখ পড়লো মেয়েদের ফার্স্ট টেবিল এ বসা একটি মেয়ে এর দিকে। মেয়ে টির দিকে চোখ পড়ার সাথে সাথে আরিয়ান চমকে উঠলো। মেয়েটির কোমর সমান লম্বা রেশমি চুল দেখে। আরিয়ান তখন কল্পনার জগতে হারিয়ে গেলো। সে মনে মনে ভাবতে লাগলো এতো সুন্দর চুল হয় কারো? মেয়েটির চুলগুলো এতো সুন্দর হলে মেয়েটি নিশ্চয়ই তার চাইতেও সুন্দর। এমন সময় পিছন দিক থেকে আরিয়ানের বেস্ট ফ্রেন্ড নিখিল আরিয়ানের কাঁধে হাত রাখলো। আর বললো,
নিখিল: কিরে আরিয়ান স্যার কখন চলে গেলো আর তুই বসে বসে কি করোস?
আরিয়ান নিখিল এর কথায় বাস্তবে ফিরে আসলো। আর বললো,
ওই যে ফার্স্ট টেবিল এ বসা ওই মেয়েটা বলে তাকাতেই দেখে মেয়েটা আর নেই।
নিখিল: কই কোন মেয়েটা? আরিয়ান এর মুখে কোনো জবাব নেই। আরিয়ান শুধু এদিক ওদিক মেয়েটাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
নিখিল : তুই কাকে খুজছিস?
আরিয়ান : ওই যে লম্বা চুলওয়ালা সেই মেয়েটি।
নিখিল : কই আমি তো এখানে কোনো লম্বা চুলওয়ালা মেয়ে দেখছি না।
আরিয়ান: এখানেই তো ছিল। কোথায় চলে গেলো? আরিয়ান আর নিখিল দুইজনে মেয়েটাকে না পেয়ে বাড়িতে চলে গেলো।
তখন রাত বারোটা, আরিয়ান লাইট অফ করে শুয়েছে। আর ঠিক তখন এই আরিয়ান এর চোখে সেই লম্বা চুলগুলো ভেসে উঠলো।
আরিয়ান মনে মনে ভাবতে লাগলো, আমি কি সত্যি চুলগুলোর প্রেমে পরে গেছি? আরিয়ান মনে মনে ঠিক করে নিলো, কাল সে কলেজে গিয়ে লম্বা চুলওয়ালা মেয়েটিকে খুঁজে বের করবেই। এইসব ভাবতে ভাবতে আরিয়ান ঘুমিয়ে পড়লো। সকাল আট টায় আরিয়ান ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে নয়টার দিকে কলেজে যাওয়ার জন্য রওনা দিলো। সে মনে মনে ঠিক করে নিলো, আজকে সে লম্বা চুলওয়ালা মেয়েটিকে খুঁজে বের করবেই।
আরিয়ান ক্লাসে এসে মেয়েটিকে খুঁজতে লাগলো কিন্তু আরিয়ান মেয়েটিকে কোথাও পেলো না। আরিয়ানের মন খারাপ হয়ে গেলো। কলেজ ছুটির পর নিখিল এসে বললো, বাসায় যাবি না? আরিয়ান : হুম যাবো।
নিখিল : চল।
আরিয়ান রিকশায় উঠবেÑঠিক তখনি দেখতে পায়, সেই লম্বা চুলওয়ালা মেয়ে টিকে একটি রিকশায় করে যাচ্ছে। আরিয়ান রিকশার পিছনে একটু দৌড়লো, কিন্তু মেয়েটিকে ধরতে পারলো না। তখন কি আর করা, আরিয়ান মন খারাপ করে বাসায় ফিরলো।
পর পর তিনদিন মেয়েটি কলেজে আসলো না। আরিয়ানসহ তার ফ্রেন্ড নিখিল, দুইজন মিলে সেই লম্বা চুলওয়ালা মেয়েটিকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। কিন্তু হাল ছাড়লো না। আরিয়ান নিখিলকে বলতে লাগলো, আমি কি আমার স্বপ্নের রাজকন্যার খোঁজ পাবো না? পরদিন আরিয়ান নিখিলকে ফোন দিয়ে কলেজে যাবেনা বলে দেয়। কিন্তু নিখিল এর জোরাজোরিতে আরিয়ান তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কলেজে যায়।
আরিয়ান মন খারাপ করে কলেজে বসে আছে। আর মনে মনে মেয়েটির কথা ভাবছে।  নিখিল ও আরিয়ান এর অন্য সব বন্ধুরা খুব দুষ্টামি করছে। কিন্তু আরিয়ানের তাতে কোনো মনোযোগ নেই। সে ক্লাস থেকে বের হয়ে কলেজের বারেন্দায় দাঁড়ালো। দাঁড়িয়ে খোলা আকাশটার দিকে তাকিয়ে আছে। আর লম্বা চুলওয়ালা মেয়েটির কথা ভাবছে। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখতে পেলো, নিল আকাশটা কালো মেঘে ছেয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখনি বৃষ্টি নামবে।  আরিয়ান ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখতে পেলো সেই লম্বা চুলওয়ালা সেই মেয়েটিকে। মেয়েটি অন্য দুÑএকটি মেয়ের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। আরিয়ান মেয়েটির পিছনদিক দেখতে পেলো। মেয়েটির সামনের দিক দেখার জন্য আরিয়ানের মন উতলা হয়ে উঠলো।
ও আচ্ছা, আপনাদের সেই লম্বা চুলওয়ালা মেয়েটির পরিচয় দেয়া হয়নি। মেয়েটির নাম আরোহী। আরোহী তখন তার বান্ধবীদের সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলো। সেখানে আরোহীর বেস্ট ফ্রেন্ড নাবিলাও ছিলো। এমন সময় বৃষ্টি আসলো। আরোহী নাবিলাকে বলে, চল বাসায় যাই?
নাবিলা: দেখছিস না বৃষ্টি আসছে। আর তোর গায়ে তো বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেই পারে না। অমনিতেই তোর জ্বর হয়।
আরোহী : তাতে কি হয়েছে? জ্বর হলে হবে।
নাবিলা : তুই পারিসও বটে।
আমি যাচ্ছি, তোরা থাক সবাই। এই বলে আরোহী বৃষ্টিতে বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলো। আরিয়ান তখন কি করবে বুঝতে পারছেনা। কিভাবে আরোহীকে আটকাবে। আরোহী তো আরিয়ানকে চিনে না। আরিয়ান মানা করলে তো ওর কথা শুনবে না আরোহী। এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ আরিয়ানের মনে পড়লো কলেজে আসার সময় আকাশ মেঘলা ছিল দেখে আরিয়ানের মা ওর বেগে ছাতাটাা ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। আরিয়ান দৌড়ে ক্লাসে গিয়ে বেগ থেকে ছাতাটা বের করে সেটা খুলে আরোহীর মাথায় ধরলো। আরোহী বুঝতে পারলো, পিছনদিকে কেউ একজন ওর মাথায় ছাতা ধরেছে। আরোহীর খুব রাগ হলো তখন। আরোহী পিছন ফিরলো আর রাগান্বিতস্বরে বললো, কি হচ্ছে এসব? আরিয়ান আরোহীকে দেখে অবাক হয়ে গেলো। মূহুর্তেই ভাবে, এতো সুন্দর মেয়েটি! ঠিক আমার স্বপ্নের রাজকন্যার মতো। যেমন আমি সবসময় স্বপ্নে দেখতাম। সাদা সালোয়ার কামিজ পরা। এক পাশে ওড়না দেয়া। রেশমি কালো চুলগুলো ছাড়া। বাতাসে একটু পর পর চুলগুলো মুখের ওপর আসছে। ঠোঁট দুটো লাল লিপস্টিকে আঁকা। কানে ছোট এক জোড়া ঝুমকো। পায়ে পায়েল। দেখতে মনে হচ্ছে আকাশ থেকে কোনো পরী নিচে নেমে এসেছে। এসব ভাবতে ভাবতে আরিয়ান পার করলো। আরিয়ানের কোনো জবাব না পেয়ে আরোহী  আবার বললো, এই যে সৎ আপনাকে বলছি। আরোহীর কথা শুনে আরিয়ান বাস্তবে ফিরে আসলো আর বললো,
আরিয়ান: আপনি আমায় কিছু বলছেন?
আরোহী: হুম সৎ আপনাকেই বলছি।
আরিয়ান: হুম বলুন।
আরোহী: এসব কি হচ্ছে? আপনি আমার মাথায় ছাতা ধরেছেন কেন?
আরিয়ান: না, মানে..
আরোহী: এ রকম মানে মানে করছেন কেন?
আরিয়ান: না আসলে, আপনার ফ্রেন্ড নাবিলা বললো যে আপনার মাথায় বৃষ্টি ফোঁটা পড়লে নাকি জ্বর হয়। আমি এ কথা শুনে আপনার জন্য ছাতা নিয়ে আসলাম।
আরোহী: আপনি পাশ থেকে আমাদের কথা শুনছিলেন?
আরিয়ান: না না, তা কেন হতে যাবে? আমি ওখান দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই শুনেছি।
আরোহী: বুঝেছি। এখন আপনি যেতে পারেন। আমি ছাতা ছাড়াই যাবো।
আরিয়ান তখন আরোহীকে অনেক রিকোয়েস্ট করলো, কিন্তু আরোহী কিছুতেই আরিয়ানের ছাতা নিলো না। দুজনে বাসায় ফিরে। কিন্তু আরিয়ানের মন খুব খারাপ। কারণ তার ছাতাটি আরোহী নিলো না বলে। আরোহী বৃষ্টিতে ভিজে খুব জ্বর আসলো। আরিয়ান বাসাই গিয়ে ভাবতে লাগলো কি অপরূপ সুন্দর লাগছিলো মেয়েটিকে। জানিনা আমার সাথে ওর জন্মমের বন্ধন কিনা। কেনো ওকে এতো ভালোবেসে পেলেছি। আমি তো তাকে কখনোই ভুলতে পারবো না। কিন্তু সে কি আমায় মেনে নিবে? নাকি আজকের মতো রিজেক্ট করে দিবে। আরিয়ান ঘড়িতে টাইম দেখে আর বলে মাত্র রাত দুই টা বাজে। সময় কেনো যাচ্ছে না। কখন সকাল হবে, কখন কলেজে যাবো। কখন আমার স্বপ্নের রাজকন্যাকে দেখতে পাবো। এসব ভাবতে ভাবতে আরিয়ান ঘুমিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে নয়টার দিকে আরিয়ান কলেজে উপস্থিত। কলেজে আরোহীকে অনেকবার খুঁজলো কিন্তু পেলো না। তখন আরিয়ান আরহির বেস্ট ফ্রেন্ড নাবিলাকে বলে, এ যে আপু।
নাবিলা: আমাকে বলছেন?
আরিয়ান: জি, আপনাকে বলছি।
নাবিলা: আপনি ওদিনের সেই ছেলেটা না, যে আরোহীর মাথায় ছাতা ধরে ছিলেন?
আরিয়ান: জি, কিন্তু আপনার বান্ধবি কোথায়?
নাবিলা: আরোহীর তো খুব জ্বর।
আরোহীর জ্বর  শুনে আরিয়ানের চোখ দুটো ছল ছল করছে। আর নাবিলাকে বলছে আমি না আপনার বান্ধবিকে খুব ভালোবেসে পেলেছি। খুব বেশি। এ কথা বলে আরিয়ান ওখান থেকে চলে আসলো। বাড়ি এসেই মায়ের কোলে মাথা রেখে আরিয়ান বলে, মা তোমার ছেলে একটা ভুল করে পেলেছে! মা-ও জানতে চায়, কিরে বাবা কি হয়েছে আমাকে বল?
আরিয়ান: মা তোমার ছেলে না, একটা মেয়েকে খুব ভালোবেসে পেলেছে।
মা: সে কিরে, এত ভালো সংবাদ আমায় আগে দিসনি কেনো? ঠিকানা দে আমায়।
আরিয়ান: মা, মেয়েটিকে আমি ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটি তো আমায় ভালোবাসে না।
মা: কেনরে বাবা, আমার ছেলেকে তো ফেলানোর মতো কিছুই নেই।
আরিয়ান: জানি না মা। এই বলে আরিয়ান কাঁদতে লাগলো আর বললো, জানো মা তোমার বউমার না আজকে খুব জ্বর।
মা: সে কি! কিভাবে জ্বর বাধলো?
আরিয়ান: বৃষ্টিতে ভিজে।
মা: এখন কেমন আছে ও?
আরিয়ান: জানি না মা।
এ বলে আরিয়ান কেঁদে কেঁদে মায়ের কোল থেকে উঠে চলে গেলো। দুইদিন পর আরোহী আবার কলেজে  আসলো। কলেজে এসে এদিক ওদিক আরিয়ানকে খুঁজতে লাগলো। আরিয়ান তা দেখতে পেয়ে আরোহীর কানের কাছে গিয়ে বলে, আমায় খুজছেন?
আরোহী: আপনাকে কেনো খুঁজতে যাবো আমি?
আরিয়ান: না আপনি আমায় খুঁজছেন।
আরোহী: না আসলে ওইদিন আমার মাথায় এভাবে ছাতা ধরলেনÑতাই ধন্যবাদ।
আরিয়ান: আমি কিন্তু কারো ধন্যবাদ পাওয়ার জন্য ছাতা ধরি নি।
আরোহী: তা হলে কেনো ধরেছেন?
আরিয়ান: ভালোবাসি বলে।
আরোহী: কি বললেন?
আরিয়ান: না, কিছু বলিনি।
আরোহী : আপনি যা বললেন পরথেকে থেকে একথা আর বলবেন না। এই বলে আরোহী ওখান থেকে চলে যায়।
পরদিন সকালে আরিয়ান নাস্তা করতে বসলে আরিয়ান এর মা এসে বলে,
মা: বাবা শোন, তোর মামা কল দিয়েছিলো। ওখানে যাবো আজ।
আরিয়ান : হুম যাও।
মা: তুইও আমার সাথে চল না বাবা। আমি একা কিভাবে যাবো বল?
আরিয়ান মায়ের কথায় কিছু বলতে পারলো না। আর মায়ের কথা মতো আরিয়ান ওর নানার বাড়িতে গেলো। নানুর বাড়িতে থাকার কারণে আরিয়ান দুইদিন কলেজে যেতে পারলো না। আরিয়ান পরপর দুইদিন কলেজে যায়নি দেখে আরোহী চিন্তায় পরে গেলো। আরোহী মনে মনে বলতে লাগলো যে ছেলেটি সারাদিন আমার পিছনে আঠার মতো লেগে থাকে আজকে দুইদিন কি হলো তার? কলেজ ছুটির পর আরোহী বাসায় চলে আসলো। বাসায় আসার পর বারবার শুধু আরোহীর আরিয়ানের কথা মনে পড়তে লাগলো। আরোহী মনে মনে ভাবতে শুরু করে, আমি কি আরিয়ানকে ভালোবেসে পেলেছি? কেন বারবার ওর কথা মনে পড়ছে আমার? কেন আমি ভুলতে পারছি না ওর কথা? কেন পারছি না? কেন? আমি কি সত্যি আরিয়ানকে ভালোবেসে পেলেছি? না না, আমি এসব কি ভাবছি। আরোহী তখন নিজে নিজে বললো। না আরোহী না, তুই কারো প্রেমে পড়তে পারিস না। এসব ভাবতে ভাবতে আরোহী ঘুমিয়ে পড়লো।
পরদিন সকালে আরোহী নাস্তা করে কলেজে গেলো। ক্লাসে গিয়ে দেখলো তার আগে আরিয়ান এসে ক্লাসে বসে আছে আর কি যেন ভাবছে। আরোহী এই প্রথমবার আরিয়ানের দিকে ভালো করে তাকালো। তাকিয়ে দেখলো, গায়ের রং সেম বর্ণের। কিন্তু বেশ মায়াবী চেহারা। দেখতেও বেশ স্মার্ট। আরিয়ান আরোহীকে দেখলো আর কি বলে ওর সাথে কথা শুরু করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ আরিয়ানের মনে হলো গত দুইদিনের নোটগুলো নিলে কেমন হয়। আরিয়ান তখন আরোহীকে বললো, আপনার গত দুইদিনের নোটগুলো আমাকে একটু দিবেন? আরোহী উত্তর দেয়, হায় নিন।
আরিয়ান নোটগুলো নিজের খাতায় তুলছে আর ভাবছে কিছুতেই তো আমার ভালোবাসার কথা ওকে বলতে পারছি না। আচ্ছা আমাকে কি ও ভালোবাসবে? নাকি… আচ্ছা ও কি আমাকে নিয়ে ভাবে…? ধুর কি সব ভাবছি, আমি তো ওর বন্ধু না। আর ভালোবাসার মানুষও না। আচ্ছা ও আমাকে ভালোবাসার মানুষ না ভাবতে পারে কিন্তু বন্ধু তো ভাবতে পারে। আরিয়ান হঠাৎ আরোহীকে বললো, আচ্ছা আমরা দুইজন কি বন্ধু হতে পারি? আরোহী আরিয়ানের কথা শুনে মনে মনে বললো, ছেলেটা মন্দ নয়। বন্ধুত্ব করাই যায়। আরোহী একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো হুম।
আরোহীর হাসিটা দেখে আরিয়ান এর বুকে ধড়ফড় করে উঠলো। আরিয়ান মনে মনে বললো এতো সুন্দর করে কেউ নাম্বার লিখে আরোহীর হাতে দিলো আর বললো, আমি আপনার নাম্বার চাইব না। আপনার ইচ্ছে হলে আমায় কল দিয়েন। কলেজ ছুটির পর দুইজনে বাসায় চলে আসলো। আরিয়ান বাসায় ফিরে কলেজে আরোহীর সাথে যা কথা হলো সব ওর মাকে বললো। আরিয়ানের মা বললো, দেখবি একদিন আরোহী হবে আমার ঘরের লক্ষ্মী। আরিয়ানও দ্রুত বলে, তোমার কথা যেন সত্যি হয় মা।
আরোহী বাসায় আসার পর আরিয়ানের কথা ভাবতে লাগলো। মনে মনে বললো ছেলেটা সত্যি অনেক ভালো। আর অন্যসব ছেলের থেকে একদম আলাদা। ও তো পারতো অন্যসব ছেলেদের মতো আমার থেকে আমার মোবাইল নাম্বার চাইতে। কিন্তু ও তা করেনি। আচ্ছা, আমি আরিয়ানের কথা কেন ভাবছি? তাহলে কি আমি সত্যি ওকে ভালোবেসে পেলেছি?
 আফনান ইসলাম,লেখক ও শিক্ষার্থী

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo