ফেনীতে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের এসআই আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার রাতে থানায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর উপজেলার লমাছি পাড়ার কাশেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ফেনী পুলিশের বিশেষ শাখায় (ডিএসবি) কর্মরত। তবে বর্তমানে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে একটি প্রশিক্ষণে আছেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালে ফেনী শহরের একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে এসআই আলা উদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস পর তাদের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে গত বছর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।পরে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা লন্ডন প্রবাসী এক যুবককে বিয়ে করেন। তিনি বর্তমানে তার সঙ্গে ঘর সংসার করছেন। সম্প্রতি শিক্ষিকার স্বামী লন্ডনে চলে যায়।পরে বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত আলা উদ্দিন ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে পুনরায় সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
শিক্ষিকার অভিযোগ, গত ২৩ নভেম্বর বিকেলে আলা উদ্দিন তার বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।বিষয়টি কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন।পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকায় প্রশিক্ষণে চলে যাওয়ার খবর পেয়ে শনিবার রাতে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
