ফেনী পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু প্রকাশ কানা বাবলুর বিরুদ্ধে নির্যাতিত ও গ্রেফতারকৃত কারান্তরীণ নেতাকর্মীদের অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকার দলীয় নেতাদের সাথে আঁতাত,চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, ফেনী জেলা যুবদলের মানিক-আনোয়ার কমিটির পৌর সমন্বয়ক বনে যান জাহিদ হোসেন বাবলু।গাজী মানিকের অনুসারী দাবি করে ফেনী পৌর যুবদলের সমন্বয়ক পরিচয়ে শহরের পুলিশ কোয়ার্টার কেন্দ্রীক যুবদল ছাত্রদলের কয়েকজনকে নিয়ে একটি চক্র গড়ে তুলেন।এ চক্রের সদস্যদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন বাবলু।আবার চক্রের কয়েকজনকে দিয়ে ওয়াপদা মাঠে অনুষ্ঠিত বানিজ্য মেলা থেকে চাঁদা আদায় করার পাশাপাশি চক্রের সদস্যদের দ্বারা সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাইসহ নানা অপকর্মের ভাগ বাটোয়ারা পেত যুবদলের এ নেতা।
যুবদল-ছাত্রদলের নির্ভরযোগ্য সুত্র জানান, গুমকৃত যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপন প্রকাশ বোমা রিপন ও পুলিশের গুলিতে নিহত হারুনের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার নামে বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী থেকে অনুদান নিয়ে তা আত্মসাত করে পেলে বাবলু।এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত ও গ্রেফতারকৃত কারান্তরীণ দলীয় নেতাকর্মীদের আইনি সহযোগিতা প্রদানের নাম ভাঙিয়ে আদায়কৃত অনুদানও মেরে দেন যুবদলের এ নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী জানান, শহরের রামপুর, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক ও পুলিশ কোয়ার্টার কেন্দ্রীক বিভিন্ন সময়ে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা বিএনপি, যুবদল-ছাত্রদলের অনেক নেতাকর্মী আহত ও পুলিশের নিকট সোপর্দ হন। কিন্তু সরকার দলীয় কয়েকজন নেতার সাথে যুবদল নেতা বাবলুর আঁতাত সম্পর্ক থাকায় বেঁচে যায়। বর্তমানে বাবলু জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ওরপে নাসির খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বলে নেতাকর্মীরা জানান।
এ ব্যপারে জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকারের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে ফেনী পৌর যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন বাবলু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ন।