ফেনী
বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:৫৯
, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফেনীতে র‍্যাবের অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্য গ্রেফতার

ফেনীতে বিশেষ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বিডিবি-১০ নামে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

বুধবার দুপুরে র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা হলো, গ্যাং লিডার মো. আল-আমীন (১৯), মেহেদী হাসান রাব্বি (১৯), মিনহাজ মিয়া (১৯), শহিদুল ইসলাম (২০), মনসুর আহমেদ (১৯), আশরাফুল ইসলাম (১৯), নাজমুল হাসান নাহিদ (১৯) ও আদিব আলি সোহান (২০)।

র‌্যাব জানায়, ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বিডিবি-১০ নামে কিশোর গ্যাংয়ের গ্রুপ প্রধানসহ ৮ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রুপটি ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং ভাড়ায় মারামারি সংঘাতে জড়ানোর কাজ করতো।তবে এদের মূল কার্যক্রম ছিল সন্ধ্যার পর একত্রিত হয়ে মাদক সেবন করে ছিনতাই করা ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা।এছাড়া বিরিঞ্চি ও আশেপাশের এলাকায় কর্মরত লোকজনের কাছ থেকে ছিনতাই করত।

গ্রুপটি স্থানীয় আল-আমীন নামের এক যুবকের ছত্রছায়ায় পরিচালিত হয়ে আসছিল। তাদের মূল কাজই হলো সন্ধ্যার পর একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু সম্ভাব্য লোকেশনে ছড়িয়ে পরে ছিনতাই করা।

র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জানান, সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিভিন্ন ছত্রছায়ায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোররা ব্যবহৃত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরণও পাল্টে যাচ্ছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, চুরি-ছিনতাই থেকে শুরু করে খুনাখুনিসহ নানা অপরাধে কিশোর-তরুণরা জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসা ও দখল বাজিতেও তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। নানা অপরাধে জড়িয়ে কিশোররা ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে স্থানীয় এলাকার একটি চক্রের মদদ রয়েছে। ‘হিরোইজম’ প্রকাশ করতেও পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo