ফেনী
বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:২৮
, ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

সাঈদীর জন্য দোয়া, মসজিদের খতিবকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর জন্য দোয়া চাওয়ায় ফেনী সদর উপজেলার বালিগাও ইউনিয়নের ফকিরহাট মাদ্রাসা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সলিমুল্লাহকে মারতে মারতে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছেন।শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মোনাজাতের পূর্বে সাঈদীসহ আলেম-ওলামার জন্য দোয়া চাইলে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী তাকে থামিয়ে দিয়ে মারধর করে।এ সময় ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর শুক্কুর মানিক ঘাড় ধরে মারতে মারতে বাহিরে নিয়ে খতিবের মাথায় থাকা পাগড়ি খুলে বাথরুমে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ফকিরহাট বাজার জামে মসজিদের মুসল্লি আবদুল ওহাব জানান, জুমার নামাজ শেষে ঈমাম সাহেব মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ইসলামে বিশেষ অবদানের জন্য দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীসহ আলেম-ওলামার উদ্দেশ্যে দোয়া করতে বলেন। এ সময় আব্দুর শুক্কুর মানিকের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক ঈমামকে থামিয়ে দিয়ে মেহরাব থেকে তাকে ঘাড় ধরে বাহিরে নিয়ে যান। বাহিরে নিয়ে তাকে প্রহার করে তাহার মাথায় থাকা পাগড়ি খুলে বাথরুমে ছুড়ে ফেলে দেন।
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি শেখ ফরিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে একটি সালিশী মিটিংয়ে থাকার অযুহাত দেখিয়ে বিষয়টি এডিয়ে যান তিনি।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সোহাগ বলেন,উদ্ভূত ঘটনার জন্য ঈমাম সাবে উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে মাফ চাইলে তাকে রেহাই দেয়া হয়। এবং তাকে মসজিদের খতিব পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত শেখ আব্দুর শুক্কুর মানিক বলেন, বিতর্কিত একজন ব্যক্তির জন্য দোয়া চাইলে মুসল্লিরা রেগে যান। তখন আমি তাকে মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেছি। মারধরের বিষয়টি সঠিক নয়।

মসজিদের খতিব মাওলানা মো. সলিমুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি আল্লার কাছে বিচার দিয়েছি , তিনি ন্যায় বিচার করবেন। তবে তিনি দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীসহ আলেম-ওলামার জন্য দোয়া চেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।

ফেনী মডেল থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এ ব্যপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo