ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৬ তরুণী ও খদ্দরসহ ২১ জনকে আটক করেছে।সোমবার রাতে রায়হান টাওয়ারের নীচ তলা থেকে তাদেরকে আটক করে যাচাই বাছাই শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই হায়াত উল্লাহ।পরে মঙ্গলবার বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
সুত্র জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে পতিতালয় পরিচালনাকারী মাদারীপুরের মৃত আলম মাতবরের ছেলে আলী মাতবর (৩৫) ও খদ্দর সোনাগাজী নবাবপুরের করিম উল্লাহর ছেলে ছাত্রদল নেতা গিয়াস উদ্দিন (২৬), খুলনা বাগের হাটের মুজিবর শেখের ছেলে সেকান্দর মোহাম্মদ (৪০),সোনাগাজীর আবু আহম্মদের ছেলে মোঃ হানিফ (৩৭), ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়ার বাবুল মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (২৩) ও কবির আহম্মদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২), লেমুয়ার মোঃ সেলিমের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২১) ও বাবুল উদ্দিনের ছেলে ইয়ছিন হোসেন কদয় (১৯), নোয়াখালীর সেনবাগের শাহ আলমের ছেলে আবুল কালাম (২৫) ও অজিউল্ল্যাহর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৯), লক্ষীপুর কমল নগরের রুহুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ সুমন (৪০),ছাগলনাইয়া রাধানগরের মোঃ শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন (২১), কিশোরগঞ্জ মিঠামাইনের আক্কাস গাজীর ছেলে মোশারফ গাজী (৩০), দাগনভূঁঞা চন্দ্রপুরের লোকমান মিয়ার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (২২), ছাগলনাইয়া মধুগ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মনসুর আলম (২২) এবং পতিতা দক্ষিণ সায়দবাদ সুত্রাপুরের মৃত নাসির উদ্দিনের মেয়ে সোনালী (২৮), মিরশরাই উপজেলার মুগরা গ্রামের নুরুল আনোয়ারের মেয়ে জান্নাতুল রায়হান নদী (২১), চট্টগ্রাম রাউজানের মৃত পিয়ালের মেয়ে আছমা আক্তার (১৯),কোতোয়ালীর মজিবুলের মেয়ে শারমিন আক্তার,নোয়াখালী সুবর্ণচরের মোঃ আলাউদ্দিনের মেয়ে শিলা বেগম (২০) ও বান্দরবন হলুদিয়ার মৃত খবির আহম্মদের মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (২৮) কে আটক করে।
খদ্দরদের মধ্যে সিএনজি চালক, লেবার, চাকুরীজীবী, স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীও রয়েছে।
তবে ছাত্রদল নেতা গিয়াস উদ্দিনের ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য জেলা কমিটির কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান,সে ছাত্রদলের কোন পদ পদবীতে নেই তবে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাতের অনুসারী।
ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান,আটককৃতদের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।